সালমান খানের ৫ বছরের কারাদণ্ড, ১০ হাজার রুপি জরিমানা

প্রায় ২০ বছর আগের এক মামলায় দোষী সাব্যস্ত বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে সালমানকে ১০ হাজার ভারতীয় রুপি জরিমানাও করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) যোধপুরের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।শুরুতে আদালত সূত্রকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো সালমানের ২ বছরের কারাদণ্ডের খবর জানালেও পরে তা সংশোধন করে ৫ বছরের সাজার কথা উল্লেখ করা হয়। যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে তাকে নেওয়া হয়েছে। সেখানেই রাত কাটাতে হবে তাকে। শুক্রবার সকালে তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। রায়ের বিরুদ্ধে রাজস্থান হাইকোর্টে আপিল করতে পারেন সালমান।


প্রায় ২০ বছরের পুরনো মামলায় দোষী সাব্যস্ত সালমান খান

সালমান খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি ১৯৯৮ সালে যোধপুরের কাছে কানকানি গ্রামে দুটি বিরল প্রজাতির হরিণ শিকার করেছেন। সালমানসহ বলিউড তারকা সাইফ আলী খান, সোনালি বেন্দ্রে, নিলম ও টাবু একটি হিন্দি ছবির শুটিংয়ের জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। ৫২ বছর বয়সী সালমান আগেই এ মামলায় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, হরিণ দুটি প্রাকৃতিক কারণেই মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) প্রায় বিশ বছর বয়সী পুরনো এই মামলার রায় দিয়েছেন যোধপুরের ডিসট্রিক্ট প্রিজাইডিং অফিসার দেবকুমার খাত্রী। রায়ে সাইফ আলী খান, সোনালি বেন্দ্রে, নিলম ও টাবুকে খালাস দেওয়া হলেও সালমানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। হরিণ শিকারে সালমান খানকে 'অভ্যস্ত আক্রমণকারী'আখ্যা দেওয়া হয় আদালতের রায়ে। পরে তাকে যোধপুর সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয়।


রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন মামলার অন্যান্য আসামি বলিউড তারকা সাইফ আলী খান, সোনালি বান্দ্রে, নিলম ও টাবু। বেনিফিট অব ডাউট-এর বিবেচনায় তাদের খালাস দিয়েছে আদালত। এ মামলায় আরও দুজন অভিযুক্ত ছিলেন—ট্রাভেল এজেন্ট দশায়ন্ত সিং ও সালমানের সহকারী দিনেশ গাউরে। গাউরে অবশ্য এখনও পলাতক।

নিম্ন আদালত এই মামলার রায়ে সালমানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। ২০০৭ সালে প্রায় এক সপ্তাহ জেলও খাটতে হয়েছিল তাকে। রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সালমান। হাইকোর্টের বিচারপতি নির্মলজিত কৌর বলিউড সুপারস্টারের আবেদনে সাড়া দিয়ে তাকে বেকসুর খালাস দেন। হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, সালমান খানের লাইসেন্স করা বন্দুকের গুলি মৃত প্রাণির শরীরে পাওয়া যায়নি, তাই সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আর এজন্যই সালমানকে ‘বেনিফিট অব ডাউট’ দিয়ে মামলা থেকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়।
রায়ের বিপরীতে  রাজস্থান সরকার সালমানের দণ্ডের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আপিল করেছিল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই সালমানের নতুন সাজা ঘোষিত হলো।