কাতারের সঙ্গে ৩০ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তির সিদ্ধান্ত অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের

কাতারের কাছে ৩০ কোটি ডলার মূল্যের ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির চুক্তি অনুমোদন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর। হোয়াইট হাউসে কাতারি আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্ধারিত বৈঠকের একদিন আগে সোমবার (৯ এপ্রিল) এ ব্যাপারে সম্মতি জানানো হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরকে উদ্ধৃত করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই খবরটি জানিয়েছে। মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন থানি।  

কাতারের আমির ও ডোনাল্ড ট্রাম্প
যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র কাতার। মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বিমানঘাঁটি এ দেশটিতেই অবস্থিত। তবে গত বছর আরব দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের বিরোধকে কেন্দ্র করে দোহা-ওয়াশিংটন সম্পর্ক ঘোলাটে হয়ে পড়ে। ২০১৭ সালের ৫ জুন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতার অভিযোগে কাতারের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক মিত্র দেশ সৌদি আরবের নেতৃত্বে অবরোধ আরোপ করা হয়। এতে করে কাতার জল, স্থল ও আকাশপথে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। যদিও সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতা প্রদানের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে কাতার। প্রাথমিকভাবে সৌদি আরবের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছিলেন ট্রাম্প। পরে দোহার বিরুদ্ধে সুর নরম করেন তিনি। সংকট সমাধানে মধ্যস্থতারও আগ্রহ দেখিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের তিন সপ্তাহের যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষ হওয়ার কয়েকদিনের মাথায় দেশটিতে সফর শুরু করেছেন কাতারি আমির থানি। সোমবার কাতারি আমির মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিসের সঙ্গে দেখা করেন। কাতারের আমিরর সফর শুরুর পর সোমবার এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানায়, কাতারের কাছে ৫০০০টি উচ্চ বিস্ফোরণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৫০০টি ওয়ারহেডসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ৫ হাজারটি প্রিসিশন কিল উইপন সিস্টেমস (এপিকেডব্লিউএস) বিক্রির সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।

পররাষ্ট্র দফতরের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য কাতার গুরুত্বপূর্ণ একটি শক্তি। আমাদের পারস্পরিক প্রতিরক্ষাজনিত স্বার্থ আমাদের সম্পর্কের হাল ধরে রেখেছে এবং কাতারের প্রতিরক্ষা খাতে কাতার আমিরি এয়ারফোর্স মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে।’

এর আগে সৌদি যুবরাজের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় রিয়াদের কাছে ২০০ কোটি ডলারেরও বেশি মূল্যের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে মার্কিন সরকার।