সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র

সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার জবাবে যেকোনও ব্যবস্থা নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স বলেছেন, সামরিক অভিযান নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।  ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

_100815873_hi046107629প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিমা নেতারা সিরিয়ায় সামরিক অভিযানের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে। যুক্তরাষ্ট্র এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে না আসলেও এই ঘটনায় রাশিয়া ও সিরিয়াকে তারা দায়ী মনে করে বলে জানিয়েছেন সারাহ স্যান্ডার্স।

বৃহস্পতিবার এই  বিষয়ে বৈঠকের কথা রয়েছে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের। মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেও।  

গত শনিবার (৭ এপ্রিল ) সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহর দৌমাতে রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। যুক্তরাষ্ট্র ওই হামলার জন্য রাশিয়ার মিত্র সিরিয়ার বাশার আল আসাদ সরকারকে দায়ী করে। আর রাশিয়া ও সিরিয়া সরকার এজন্য বিদ্রোহীদের দায়ী করে।  ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আওতায় একটি বিশেষ প্যানেল গঠন করতে আলাদা দুটি প্রস্তাব নিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া।

এরপর সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা তদন্তের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া নিরাপত্তা পরিষদে একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। হামলার অভিযোগ তদন্তে নিরাপত্তা পরিষদে নতুন একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠনের প্রস্তাব আনে উভয়পক্ষই। তবে উভয়েই তাদের বিপরীত পক্ষের প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে। মঙ্গলবার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রস্তাব দুটির ওপর ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। রাশিয়ার আনা তৃতীয় একটি প্রস্তাবও এদিন আটকে যায়।

বুধবার সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েই চিন্তা করছেন। আমরা এখনও নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা হাতে নেইনি।’

এর আগে এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘সিরিয়ার দিকে যেকোনও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার অঙ্গীকার করেছে রাশিয়া। তাহলে এবার প্রস্তুত থাকো। সিরিয়ার দিকে মিসাইল ধেয়ে আসছে। গ্যাস দিয়ে মানুষ হত্যা করা ‘জন্তুর’ সঙ্গে বন্ধুত্ব করা উচিত হয়নি তোমার।’