যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ চায় না বলে দাবি করলেন নিকি হ্যালি

সিরিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুদ্ধ চান না বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। তিনি বলেন, সিরিয়া নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তিনটি লক্ষ্যে কাজ করছে। ট্রাম্প কখনোই যুদ্ধ চান না। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে দেওয়া সাক্ষাতকারে একথা বলেন তিনি।

thumbs_b_c_18fc0978a179c85515f397838425e479

নিকি হ্যালে বলেন, ‘প্রথমত প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট করেছেন যে কোনও ধরনের রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার সহ্য করা হবে না। মার্কিন স্বার্থে আঘাত লাগে এমন কিছুই হতে দিবে না যুক্তরাষ্ট্র।’

দ্বিতীয়ত তারা চান সিরিয়ায় সম্পূর্ণভাবে আইএস নির্মূল হোক। পুরোপুরি আইএসমুক্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত করতে চায় যেন কোনও ইরানি প্রভাব না থাকে।

যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ চায় না বলেও দাবি নিকি হ্যালি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কখনোই যুদ্ধ চান না। মানুষ হত্যা করতে চান না। মার্কিনিরা এভাবে চিন্তা করেন না।’ শুধু রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কঠোর জবাব দিতে চেয়েছিল বলেও দাবি করেন তিনি।

গত ৩০ মার্চ ট্রাম্প ঘোষণা দেন, সিরিয়ায় মোতায়েন করা মার্কিন সেনাদের 'অচিরেই' প্রত্যাহার করা হবে। ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সিরিয়া থেকে অচিরেই চলে আসব। অন্যরা সেখানকার দায়িত্ব নিক। অচিরেই আমরা সেখান থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করব। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ৭ ট্রিলিয়ন ডলার অপচয় করেছে।’

তবে এরপর শনিবার সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক হামলার অভিযোগ এনে দেশটির সরকারি স্থাপনায় যৌথ হামলা চালায় যু্ক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। শুক্রবার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত শহরে রাসায়নিক হামলার অভিযোগ তুলে সিরিয়ার তিনটি স্থাপনা লক্ষ্য করে যৌথ হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। 

সিরিয়া ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে বলেও ঘোষণা দেন হ্যালে। বহাল থাকবে ইউক্রেন ইস্যুতে জারি করা পূর্বের নিষেধাজ্ঞাও।