অভিবাসন ইস্যুতে বিতর্কের জেরে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ

অবৈধ অভিবাসীদের ইস্যুতে বিতর্কের জেরে পদত্যাগ করেছেন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যামবার রুড। আগামী কয়েক বছরে দশ শতাংশ বেশি অবৈধ অভিবাসীকে ব্রিটেন থেকে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা ফাঁস হওয়ার জের ধরে এই ঘোষণা দেন দেন তিনি। ওই পরিকল্পনা নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার মুখে ছিলেন তিনি। রুডের পদত্যাগের পর ব্রিটেনের বিরোধী দলের ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডিয়ানে অ্যাবোট বলেছেন, তিনি ঠিক কাজই করেছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-কে এই ‘সংকটের মূল স্থপতি’ আখ্যা দিয়ে তাকে পার্লামেন্টে ব্যাখ্যা দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন অ্যাবোট। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি লিখেছে, ধারণা করা হচ্ছে সোমবার সকালে রুডের উত্তরসূরীর নাম ঘোষণা করা হবে।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যামবার রুডউইন্ডরাশ স্ক্যান্যাল নামে পরিচিতি পাওয়া বর্তমান অভিবাসন বিতর্কটি সামনে আসে যখন কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো থেকে কিছু অভিবাসীদের ব্রিটেন থেকে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। ১৯৪০ থেকে ১৯৭০ এর দশক পর্যন্ত ব্রিটেনে আসা এসব অভিবাসী তা তাদের আত্মীয়দের অবৈধ অভিবাসী ঘোষণার পরিকল্পনার কথা সামনে আসলে ব্রিটেনে বিতর্ক শুরু হয়। গত সপ্তাহে সামনে আসা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যামবার রুডের পূর্ণাঙ্গ  চিঠিটি গত রবিবার প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আরও দশ শতাংশ বেশি অবৈধ অভিবাসীকে   বের করে দেওয়ার কথা জানানো হয়। এর জের ধরেই বিতর্কের মুখে পড়েন অ্যামবার রুড।

বিবিসি লিখেছে, বিরোধী দল থেকে পদত্যাগের দাবি জোরালো হতে থাকলে রবিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-কে ফোন করে নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানান রুড। পদত্যাগপত্রে রুড লিখেছেন, অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত করতে যাদের টার্গেট করা হয়েছে তাদের বিষয়ে তার কার্যালয়কে যে তথ্য দেওয়া হয়েছিল সে বিষয়ে সতর্ক না থাকার সম্পূর্ণ দায় নিচ্ছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, রুডকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ছাড়তে দেখার ঘটনায় দুঃখ পেয়েছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তার অর্জনে গর্বিত বলেও জানান তিনি।