রুশ সংযোগ তদন্ত: ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সমন জারির হুমকি মুলারের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ সংযোগের অভিযোগ তদন্তে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সমন জারির হুমকি দিয়েছেন তদন্তে নিয়োজিত বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট মুলার। মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, মার্চে ট্রাম্পের আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনার সময় এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

ট্রাম্প ও মুলার
২০১৬ সালের নভেম্বরে মার্কিন নির্বাচনে রুশ সংযোগের বিষয়টি অনেকদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রে। নির্বাচনকে প্রভাবিত করে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে মস্কো প্রপাগান্ডা ছড়িয়েছিল এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সাবেক এফবিআই পরিচালক জেমস কোমিকে বরখাস্তের পর এই তদন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের দিকে মোড় নেয়। তবে  ট্রাম্প বরাবরই এমন অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। রাশিয়াও এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। সাবেক এফবিআই পরিচালক রবার্ট মুলারের নেতৃত্বে এই অভিযোগের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। রুশ সংযোগ নিয়ে ট্রাম্পের দলের লোকজনের বিরুদ্ধে আগে যে সব তদন্ত হয়েছিল,সেগুলোর কোনওটিতেই ট্রাম্প নিজে তদন্তাধীন ছিলেন না।মুলারের নেতৃত্বাধীন তদন্তে প্রথমবারের মতো তিনি নিজে আওতাভুক্ত হন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ট্রাম্প তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হননি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চে ট্রাম্পের আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনায় মুলার সতর্ক করে বলেছিলেন, সমন জারির মাধ্যমে প্রেসিডেন্টকে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে বাধ্য করা হবে। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো মুলার ট্রাম্পকে জবানবন্দি দিতে বাধ্য করানোর সম্ভাবনা জোরালোভাবে উপস্থাপন করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্চে মুলারের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্পের আইনজীবীরা জোরালো দাবি করেছিলেন যে, রুশ সংযোগ সংক্রান্ত তদন্তের অংশ হিসেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে প্রেসিডেন্টের বাধা নেই। এ বৈঠকের ব্যাপারে জানাশোনা রয়েছে এমন চার ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করে ওয়াশিংটন পোস্ট এ কথা জানিয়েছে। বৈঠকে মুলারের দল সতর্ক করে বলেছিল, ট্রাম্প যদি জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে অস্বীকৃতি জানান তবে তার বিরুদ্ধে সমন জারি হতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের সাবেক আইনজীবী জন ডৌডও মঙ্গলবার (১ মে) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে একই ধরনের কথাই বলেছেন। তিনি জানান, বৈঠকে মুলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ট্রাম্পকে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে বাদ্র করা হতে পারে। ওই বৈঠকের দেড় সপ্তাহের মাথায় পদত্যাগ করেছিলেন ডৌড। তিনি জানান, তদন্তকারীদের তখন বলেছিলেন, তদন্ত কোনও ‘খেলা’ নয়। ‘আপনারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্যাঁচাচ্ছেন’। মার্চে তদন্তকারীদের এ কথা বলেছিলেন বলে দাবি ডৌডের।