কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন

কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভারতের কর্নাটক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (১২ মে) সকাল সাতটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে তা সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রাজ্যের ৩০টি জেলার ৫৮ হাজার ৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও ভোটিং মেশিনের ত্রুটির কারণে হেব্বাল আসনের একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়েছে। সেখানে আবারও ভোট হবে। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন।

ভোটার আইডি দেখাচ্ছেন ভোটাররা
ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটকে লড়াই ত্রিমুখী। জেডিএস ময়দানে থাকলেও মূল যুদ্ধ চলছে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। ১৯৮৫ সাল থেকে কোনও দল এ রাজ্যে পরপর ২ বার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি। কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া রাহুল গান্ধীর জন্যও এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

কর্নাটকের ২২৪টি আসনের মধ্যে শনিবার ভোটগ্রহণ হয়েছে ২২২ আসনে। জয়নগর আসনে বিজেপি প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সেখানে পিছিয়ে গেছে ভোট। আর রাজরাজেশ্বরী নগরে একটি ফ্ল্যাট থেকে ১০ হাজার ভোটার কার্ড বাজেয়াপ্ত করার পর সেখানে ভোটগ্রহণ স্থগিত রাখা হয়েছে। ১৫ মে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। 

বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী বি এস ইয়েদুরাপ্পা শনিবার এদিন ভোটপর্বের মধ্যেই টুইট করেন। তিনি দাবি করেন, বিজেপি ২২৪টির মধ্যে অন্তত ১৫০টি আসন পাবে রাজ্যে। বিজেপির জয় সম্পর্কে কোনও সংশয়ই নেই বলেও দাবি তার। প্রভাবশালী এই নেতা বলেন,  ‘ভোট গ্রহণের দিনই আমি দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দলীয় সভাপতি অমিত শাহকে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে আসব। ১৪৫-১৫০ আসন পেয়ে ১৭ মে সন্ধ্যায় সরকার গড়ছি।’

এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার জবাব, ‘উনি মানসিক অসুস্থ। নিজের দলের আসন কত হবে, জানতে চাওয়া হলে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, কংগ্রেস ১২০-র বেশি আসন পাবে। চূ়ড়ান্ত আধিপত্য ধরে রেখে ক্ষমতায় ফিরবে।’

নির্বাচনে নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৯৮ লাখেরও বেশি। শনিবার বিকেল ৫টা নাগাদ ৬৪ শতাংশ ভোটার উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে। নির্বাচনে প্রতিনিধি ছিলেন ২৬০০ জন।