এফবিআইয়ের গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামছে ট্রাম্প প্রশাসন

এবার মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট। ২০১৬ সালের নির্বাচনি প্রচারণার সময় এফবিআইয়ের গোয়েন্দারা ‘অযথার্থ উদ্দেশ্যে’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরে গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়েছিলো কিনা তা নিয়ে তদন্ত করা হবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের টুইট এবং মার্কিন মিডিয়ায় প্রকাশিত খবরকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি খবরটি জানিয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ছিল বলে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। অভিযোগ ওঠে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ক্ষতি করার এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভাবমূর্তি বড় করার চেষ্টা করে রাশিয়া। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল হ্যাক করে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। এরপর অভিযোগটি নিয়ে এফবিআই’র সাবেক পরিচালক রবার্ট মুলারের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়। তবে ট্রাম্প বরাবরই তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করে আসছেন। রবার্ট মুলারের নেতৃত্বে চলমান তদন্তকে বার বারই প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন ট্রাম্প। তবে এবার খোদ এফবিআইয়ের গোয়েন্দাদের বিরুদ্ধেই তদন্তে নামছে ট্রাম্প প্রশাসন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়াগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রচারণা সহযোগীদের সঙ্গে একটি অনুসন্ধানমূলক বৈঠক করেছে এফবিআই।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শুরুতে ট্রাম্প শুক্রবার অভিযোগ করেছিলেন, এফবিআই তার প্রচারণা দলের কাছে একজন গুপ্তচর পাঠিয়েছে। টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘যদি সত্যি হয়, তবে তা হবে বড় রাজনৈতিক কেলেঙ্কারি’। এরপর নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক নিবন্ধে দাবি করা হয়, সেখানে অবশ্যই একজন এফবিআইয়ের তথ্যদাতা ছিলেন। তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। ‘রাশিয়ার সঙ্গে সন্দেহমূলক যোগাযোগের’ খবর প্রকাশের পর ট্রাম্পের প্রচারণা সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাকে সেখানে পাঠায় এফবিআই। নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এফবিআইয়ের ওই গুপ্তচর একজন মার্কিন শিক্ষাবিদ। তিনি যুক্তরাজ্যে আছেন। ওই ব্যক্তি জর্জ পাপাডোপোলাস এবং কার্টার পেজের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টও একই ইঙ্গিত দেয়।

রবিবার (২০ মে) এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, পূর্বসুরীর প্রশাসন থেকে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছিল কিনা তা জানতে চান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের উপ-অ্যাটর্নি জেনারেল রড রোজেনস্টেইন বলেন, কোনও ধরনের অনুপ্রবেশের কথা জানা গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি অনুপ্রবেশ করে কিংবা অযথার্থ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্বাচনি প্রচারণায় নজরদারি চালায়, তবে আমাদেরকে এ ব্যাপারে জানতে হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’

বিবিসি জানায়, আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা কংগ্রেসনাল নেতাদেরকে এ ইস্যু নিয়ে প্রমাণ সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তাদের দাবি, এতে ওই গুপ্তচরের জীবন হুমকিতে পড়বে।