এবার ট্রাম্পকে দিয়ে দখলকৃত সিরীয় ভূখণ্ডের স্বীকৃতি চায় ইসরায়েল

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দিয়ে ফিলিস্তিনের জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের পর এবার সিরিয়ার গোলান মালভূমিরও স্বীকৃতি চাইছে ইসরায়েল। ১৯৬৭ সালে এই মালভূমির একাংশ দখল করে নেয় তেল আবিব। জেরুজালেমের স্বীকৃতি আদায়ের পর উজ্জীবিত ইসরায়েল তাই গোলানকে নিজেদের ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিতে ট্রাম্প প্রাশাসনের ওপর চাপ তৈরি করছে। ২৪ মে ২০১৮ বুধবার রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজ দেশের এমন অবস্থানের কথা স্বীকার করেছেন ইসরায়েলের গোয়েন্দামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।

nonameইসরায়েল কাট্জ বলেন, গোলান মালভূমির ইস্যুটি ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে এজেন্ডার প্রথমে রয়েছে। আমেরিকা দখলকৃত গোলান মালভূমিকে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিলে তা হবে ইরানের জন্য একটি সতর্কবার্তা। এটি ট্রাম্প প্রশাসনের ইরানবিরোধী তৎপরতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।

তিনি বলেন, গোলান মালভূমি বিষয়ে পদ্ক্ষেপ নেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। সেখানে ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার বিষয়ে মার্কিন স্বীকৃতি সম্বলিত বিবৃতি হবে ইরানের জন্য আরও একটি বেদনাদায়ক জবাব।

ইসরায়েলের গোয়েন্দামন্ত্রী বলেন, চলতি বছর আরও কয়েক মাস পর ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

তিনি বলেন, তেহরানকে এই বার্তা দেওয়া হবে যে, তারা দেখুক যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইসরায়েলকে ধ্বংস করার চেষ্টার প্রতিফল তারা পাচ্ছে।

১২০০ বর্গফুটের গোলান মালভূমি সিরিয়া ও ইসরায়েল দুই দেশের জন্যই কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৬৭ সালে আরবদের সাথে ছয় দিনের যুদ্ধে অঞ্চলটি দখল করে নেয় ইসরায়েল। পরে ১৯৮১ সালে এসে এটিকে তারা নিজেদের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করে। সেখানে অবৈধ ইহুদি বসতি স্থাপন করা হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কখনও তেল আবিবের এই দখলদারিত্বের স্বীকৃতি দেয়নি।

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু বৈঠকেও গোলান মালভূমির বিষয়টি তোলা হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে এবং এখনও তা অব্যাহত রয়েছে।

২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো দখলকৃত গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলি মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েল গোলান মালভূমির যে এলাকা দখল করে নিয়েছিল; তা আর কখনও ফেরত দেওয়া হবে না। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকা সব সময় ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

১৯৬৭ সালে দখলের পর থেকেই গোলান মালভূমিতে ইসরায়েলে বড় ধরনের সামরিক উপস্তিতি বজায় রেখেছে। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।