ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে আরও ৩৯০০ ইহুদি বসতি স্থাপনের ঘোষণা ইসরায়েলের

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে দখলকৃত ভূখণ্ডে আরও তিন হাজার ৯০০ ইহুদি বসতি স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। বৃহস্পতিবার টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এভিগদোর লিবারম্যান এ ঘোষণা দেন। দখলকৃত ভূখণ্ডে বসতি স্থাপন বন্ধ রাখার বিষয়ে আন্তর্জাতিক আহ্বান উপেক্ষা করেই এ পথে হাঁটছে তেল আবিব।

nonameটুইটারে দেওয়া পোস্টে এভিগদোর লিবারম্যান বলেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরে দুই হাজার ৫০০টি নতুন বসতি নির্মাণের জন্য অনুমতি দিতে আগামী সপ্তাহে বসতি নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হাইয়ার প্ল্যানিং কাউন্সিলের কাছে প্রস্তাব করা হবে। এছাড়া কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে ইতোমধ্যেই আরও এক হাজার ৪০০ ইউনিট বসতি স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, পশ্চিম তীরে বসতি নির্মাণের জন্য ইসরায়েল সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেটি তারা রক্ষা করছে।

দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বরতার তদন্তে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) শরণাপন্ন হওয়ার পরই নতুন করে এ অবৈধ বসতি স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। একই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের মিত্র যুক্তরাষ্ট্রও ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র  বলেছেন, ওয়াশিংটনে পিএলও অফিসের স্ট্যাটাস পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে কিনা তা নির্ধারণে আমরা সর্বশেষ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছি। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, দুই পক্ষের সরাসরি আলোচনাই টেকসই শান্তি অর্জনের একমাত্র পথ। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে এর সঙ্গে যুক্ত করে শান্তি অর্জনের কাছাকাছি যাওয়া যাবে না।

মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়ে প্রসিকিউটর ফাতু বেনসুদার সঙ্গে দেখা করেন ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি। এ সময় তিনি আইসিসিকে ‘ইসরায়েলের অপরাধ’ তদন্তের আবেদন জানান।

আবেদনে ‘বসতি বিস্তার, ভূমি দখল, অবৈধভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ শোষণ, নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা’র মতো বিষয়গুলোর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। ওই আবেদনের পরই ফিলিস্তিনের প্রতি আরও ক্ষুব্ধ হয় ইসরায়েল ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।