ভারতের সাত রাজ্যে কৃষকদের ১০ দিনের ধর্মঘট

ভারতের সাত রাজ্যে ১০ দিনের ধর্মঘট পালন করছে কৃষকরা। কৃষি খাতে বিদ্যমান সংকটের ব্যাপারে সরকারের মনোযোগ আকর্ষণের লক্ষ্যে এ আন্দোলনে নেমেছে তারা। এর ডাক দিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, কর্নাটক ও কেরালা রাজ্যের ১৭২টি সংস্থার কৃষকরা। ‘গাঁও বন্ধ’ বা গ্রাম বন্ধ নামের এই ধর্মঘট চলাকালে শহরে দুধ ও সবজির মতো পচনশীল পণ্য সরবরাহ না করার ঘোষণা দিয়েছে তারা। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন পালিত হচ্ছে আজ।

nonameকৃষকদের দাবি, পূর্ণাঙ্গ ঋণ মওকুফ, শাক-সবজির দাম বাড়ানো, উৎপাদন ব্যয়ের অন্তত ৫০ শতাংশ বেশি ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণ এবং স্থায়ী ন্যূনতম আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। দাবি আদায়ে মহাসড়কে অবস্থান, সড়কে খাদ্যপণ্য নষ্ট করে নিজেদের ক্ষোভের জানান দিচ্ছে কৃষকরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর ফলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে খাদ্য সরবরাহে ঘাটতির কবলে পড়তে যাচ্ছে দিল্লি, মুম্বাইসহ ভারতের বড় বড় শহরগুলো। কেননা, আগামী ১০ দিন উৎপাদিত ফসল, সবজি, চাল-ডাল, দুধ, মাংস কোনও কিছুই বাজারজাত করবে না কৃষকরা।

ধর্মঘটের জেরে এরইমধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর দাম বাড়তে শুরু করেছে।

কৃষক ধর্মঘটকে ঘিরে যাতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি না হয় তার জন্য সতর্ক রয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকার। গত বছর কৃষক বিক্ষোভে সেখানে রক্ত ঝরেছিল। রাজ্যের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন রুখতে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠে। ওই ঘটনায় ছয় কৃষক নিহত হন। তাই এবার সতর্ক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।

ধর্মঘটের বড় প্রভাব পড়বে উত্তরপ্রদেশে। কারণ সেখানকার রাজনীতিতে কৃষকদের ভালো প্রভাব রয়েছে। দৃশ্যত, এই আন্দোলনের ধাক্কায় কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে বিজেপি। কারণ, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। সামনে লোকসভা নির্বাচন। সূত্র: দ্য হিন্দু, এনডিটিভি, কলকাতা ২৪।