ট্রাম্প-কিম দ্বিতীয় পর্বের বৈঠক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের মধ্যে একান্ত বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। ট্রাম্প ও কিমের সঙ্গে দুই দেশের কর্মকর্তারাও এতে অংশ নিয়েছেন। বৈঠকের বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। এরআগে স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় সিঙ্গাপুরের সেন্টাসা দ্বীপে ৩৫ মিনিটের বৈঠক করেন ‍দুই নেতা।এএফপির খবরে বলা হয়, পারমাণবিক অস্ত্র থেকে শুরু করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলছেন ট্রাম্প ও কিম।

180611220033-07-trump-kim-0611-overlay-tease

সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় পর্বে শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বৈঠকে কিম ছাড়াও তাঁর শীর্ষ পরামর্শকেরা উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ছিলেন পিয়ংইয়ংয়ের শীর্ষ কূটনীতিক কিম ওং কোল। গত মাসে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কার সময় তিনিই ওয়াশিংটনে কিমের ব্যক্তিগত চিঠি নিয়ে গিয়ে ট্রাম্পের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এর বাইরে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ওং হো, কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান রি সু ওং ছিলেন ওই বৈঠকে। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে অংশ নিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ জন কেলি, জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক জন বোল্টন ও হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারাহ সান্ডার্স।

ক্যাপেলা হোটেলে দুই নেতার করমর্দনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া ৩৫ মিনিটের প্রথম পর্বের বৈঠক শেষে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা দারুণ অনুভূতি। আমরা একটি দুর্দান্ত আলোচনা করতে যাচ্ছি এবং এটি নিশ্চিতভাবেই সফল হবে।’কিম বলেন, ‘এটি (বৈঠক) সহজ ছিল না। অনেক বাধা অতিক্রম করে আমরা বৈঠকটি করছি।’ ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছে তার দেশ। ঐতিহাসিক বৈঠকের সাফল্য ও উন্নতিকে ধরে রাখতেই দুই নেতা এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন একজন মার্কিন কর্মকর্তাও। সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্টে আগে তিনি এই চুক্তির বিস্তারিত কিছু বলতে চাচ্ছেন না।  

বৈঠক বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন। তিনিই এ বৈঠক আয়োজনে মূল ভূমিকা রেখেছেন। মুন বলেছেন, ‘গত রাতে ঘুমাতে পারিনি।’ কেবিনেটের এক বৈঠকে মুন বলেন, ‘আশা করি, বৈঠক সফল হবে এবং নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হবে।’