যৌথ ঘোষণায় ট্রাম্প-কিমের চারটি বিষয়ে সমঝোতা

সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক বৈঠকের দুইটি পর্ব শেষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছেন। ট্রাম্প সেই ঘোষণাকে ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’ এবং ‘যথেষ্ট ব্যপ্ত’আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তিনি ও ‘চেয়ারম্যান কিম’ এটি স্বাক্ষর করে ‘খুব সম্মানিতবোধ করছেন। কিম বলেছেন, 'আমরা একটি ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হয়েছি এবং অতীতকে পেছনে ফেলে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
noname


দুই পর্বের বৈঠকের পর সমঝোতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সাংবাদিকদের সামনে নথি নিয়ে আসেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেখান থেকেই ছবি তোলেন সাংবাদিকরা। সেই ছবি থেকে সমঝোতার ৪টি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে এনেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। সেগুলো হলো:

১. দুই দেশের জনগণের শান্তি ও সমৃদ্ধির স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া নতুন ধারার সম্পর্কের সূচনা করবে।

২. কোরীয় উপদ্বীপে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করবে দুই দেশ।

৩. ২৭ এপ্রিলের পানজামুন ঘোষণা অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের প্রক্রিয়া শুরু করবে দুই দেশ।

৪. যুদ্ধবন্দিদের উদ্ধারের অঙ্গীকার করেছে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে যাদের শনাক্ত করা গেছে তাদের নিজ নিজ দেশে শিগগিরই প্রত্যাবাসন।

১২ জুন, মঙ্গলবার সকালে ট্রাম্প-কিম ৩৫ মিনিটের একান্ত বৈঠক শেষে দ্বিতীয় পর্বে দুই দেশের কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তারা। বৈঠক শেষে ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তির দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছে তার দেশ। দিনের শুরুতে দুই নেতার মধ্যে কোনো চুক্তির আগাম আভাস না পাওয়া গেলেও স্থানীয় সময় সাড়ে বেলা ১১টায় দুপুরের খাবারের পরে বিরতির একপর্যায়ে কিছু সময় কিমের সঙ্গে হোটেলের আঙিনায় হাঁটেন ট্রাম্প। সে সময়ই তিনি ঘোষণা দেন, দুপুরের পর একটি নথি সই হতে পারে।