সরকার গঠনে জোটবদ্ধ হলেন ইরাকের শিয়া নেতা সদর

ইরাকে সরকার গঠনে জোটবদ্ধ হলো দেশটির প্রধান দুই রাজনৈতিক জোট। গত মে মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ছিল যথাক্রমে মুক্তাদা আল সদর এবং ইরান সমর্থিত হাদি আল আমিরির জোট। মঙ্গলবার তারা জোটবদ্ধভাবে সরকার গঠনের লক্ষ্যে ঐক্যের ঘোষণা দিয়েছে। নাজাফে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ সমঝোতার ঘোষণা দেন সায়িরুন জোটের প্রধান মুক্তাদা আল সদর এবং ফাতাহ জোটের প্রধান হাদি আল আমিরি। তারা উভয়েই শিয়াপন্থী হিসেবে পরিচিত।

মুক্তাদা আল সদরএর আগে আম্মার হাকিমের নেতৃত্বাধীন আল-হিকমা ও আয়াদ আলাভির নেতৃত্বাধীন আল-ওয়াতানিয়া জোটও মুক্তাদা আল সদরের নেতৃত্বাধীন 'সায়িরুনে'র সঙ্গে সরকার গঠনে একমত হয়েছে।

গত ১২ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সায়িরুন জোট ৫৪, ফাতাহ জোট ৪৭, আল-ওয়াতানিয়া জোট ২২ এবং আল-হিকমা জোট ১৯টি আসন পেয়েছে। দেশটির পার্লামেন্টে মোট ৩২৯টি আসন রয়েছে।

ইরাকের পার্লামেন্ট সম্প্রতি ৫ থেকে ১০ শতাংশ ভোট পুনর্গণনার নির্দেশ দিয়েছে। তবে এরইমধ্যে বাগদাদে ব্যালট পেপার রাখার সবচেয়ে বড় গুদামে আগুন লেগে বিপুলসংখ্যক ব্যালট পেপার পুড়ে গেছে। তবে এ ঘটনায় নতুন করে নির্বাচনের দাবি বাতিল করে দিয়েছেন ইরাকের প্রধানমন্ত্রী  হায়দার আল  আবাদী। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যারা  রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে তাদের শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত চার ব্যক্তিকে গ্রেফতারের আদেশ দিয়েছেন আদালত। অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য ও একজন নির্বাচন কমিশনের কর্মী।

আবাদি বলেন, নির্বাচন হয়ে গেছে। আর পিছনে তাকানো নয়। নতুন সরকার গঠনের জন্য আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। রবিবারের আগুন ইচ্ছা করে লাগানো। যারা রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে হেয় করার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনবেন অ্যাটর্নি জেনারেল। পুনরায় ভোট হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত কেবল সুপ্রিম ফেডারেল কোর্টই নিতে পারে।

গত নির্বাচনে সর্বোচ্চ আসন পাওয়া শিয়া নেতা মুক্তাদা আল সদর সম্ভাব্য পুনর্নির্বাচন নিয়ে বিবাদ না করে ইরাকিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিভিন্ন দলের মধ্যে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা চলাকালে এই প্রথম কোনও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হলো। শিয়াদের পবিত্র শহর নাজাফ থেকে ঘোষণাটি দেওয়া হয়। দুই শিয়া নেতা বলেন, তারা অন্যান্য জয়ী দলগুলোকেও নতুন সরকারে তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পথ খোলা রাখবেন।

সদর বলেন, আমাদের বৈঠক খুব ইতিবাচক হয়েছে। আমাদের জাতি ও জনগণের দুর্দশা শেষ করার জন্য এখানে বসেছিলাম। আমাদের নতুন জোট জাতীয়তাবাদী হবে। সূত্র: মিডল ইস্ট আই।