ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তার দেশ সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী মিলিশিয়াদের ওপর বোমাবর্ষণ করেছে। সিরিয়া থেকে ইউরোপমুখী সুন্নি মুসলিমদের ঢল থামাতে এ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেছে তেল আবিব। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
সিরিয়ায় বিভিন্ন দেশ থেকে ৮০ হাজার শিয়া বিদ্রোহীকে জড়ো করে ইসরায়েলের বিরদ্ধে তাদের উসকে দেওয়ার জন্য ইরানকে অভিযুক্ত করেন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে উসকানি ছাড়াও সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ সিরিয়াকে শিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় তেহরান।
নেতানিয়াহু বলেন, ফের আরেকটি গৃহযুদ্ধের রশদ তৈরি হচ্ছে; একে ধর্মযুদ্ধ বলা চলে। এই অগ্নিস্ফুলিঙ্গে লাখ লাখ মানুষ ইউরোপে পালিয়ে যাবে। এতে করে বহু দেশে অন্তহীন সন্ত্রাসবাদের উত্থান ঘটবে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এমন সময়ে এ মন্তব্য করলেন, যার মাত্র কয়েকদিন আগে ইরানের মিত্র সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ তার দেশের সেনাবাহিনীর ওপর রাশিয়ার সর্বময় কর্তৃত্বের খবর নাকচ করে দিয়েছেন।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য মেইল’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসাদ বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক চলাকালে রুশরা কখনওই আদেশ দেওয়ার চেষ্টা করেনি। এমনকি মতপার্থক্য থাকলেও তারা এমন কিছু বলেনি’।
আসাদ বলেন, ‘বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে অন্য পক্ষের ভিন্নতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। সেটা আমাদের সরকারই হোক আর অন্য সরকারই হোক। রাশিয়া-সিরিয়া, সিরিয়া-ইরান, রাশিয়া-ইরান এবং এসব দেশের সরকারগুলোর মধ্যে মতের ভিন্নতা রয়েছে। এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু সবশেষে মূল বিষয় হলো, সিরিয়ায় কী হচ্ছে আর কী হতে যাচ্ছে, তা সিরিয়া সিদ্ধান্ত নেবে।’
সম্প্রতি ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, সিরিয়ায় লেবানন সীমান্তের কাছে রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে ইরান সমর্থিত বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত বাহিনীর সঙ্গে রাশিয়ার মতবিরোধের ঘটনা এটাই প্রথম। আর ইসরায়েলও চায় রাশিয়ার সঙ্গে মিলে সিরিয়া থেকে ইরানকে উৎখাত করতে। এ ব্যাপারে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনেরও দ্বারস্থ হয়েছে তেল আবিব।