চীনা পণ্যে আরও ২০০ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রে রফতানিকৃত চীনা পণ্যের ওপর আরও ২০০ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, চীন তার ‘আচরণ’ না পাল্টালে ১০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

_102104210_48a23075-7ddb-4296-8cac-0032249c4f77এই পদক্ষেপের কারণে চীন-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যিক যুদ্ধের শঙ্কা নতুন করে তৈরি হলো। গত ২২ মার্চ ৫০ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের আমদানিকৃত চীনা পণ্যে শুল্ক আরোপের জন্য একটি আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের অভিযোগ, চীন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে মেধাসম্পদ চুরি ও স্থানান্তর করছে। জবাবে এপ্রিলের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ১২৮টি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করে চীন। এর আর্থিক পরিমাণ প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। এ পরিস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরুর উপক্রম হয়। গত মে মাসে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার পর সম্ভাব্য বাণিজ্যযুদ্ধ স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্র চীনকে হুঁশিয়ার করে বলে, বাণিজ্য যুদ্ধ স্থগিত করলেও শুল্ক আরোপের হুমকি বহাল রাখা হচ্ছে।

ট্রাম্পের অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে চীন ভারসাম্যহীনভাবে বেশি লাভবান হচ্ছে। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি এই ব্যবস্থা ঘোষণার পর সোমবার শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী ছিল। সেদিনই এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেছিলেন যে চীনের পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের ব্যাপারে তিনি তার বাণিজ্য পরামর্শকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘চীন তাদের আচরণে পরিবর্তন না আনলে শিগগিরই এই শুল্ক আরোপ করা হবে। যদি সাম্প্রতিক ঘোষণা দেওয়া শুল্কও যদি চীন আরোপ করে তারপরও যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থা নেবে।

ট্রাম্প বলেন, ‘চীন যদি তাদের ‍শুল্ক বাড়ায়, তবে আমরা ব্যবস্থা নেবো। আমরা আরও ২ বিলিয়ন ডলার শুল্ক আরোপ করবো। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্কে ভারসাম্য থাকা উচিত।

ইতোমধ্যে ৮০০ চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত ৩৪ বিলিয়ন ডলারের শুল্ক আগামী ৬ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। বিমানের চাকা থেকে শুরু করে ডিশওয়াটারও এর মধ্যে আছে। হোয়াইট হাউস জানায়, আরও ১৬ বিলিয়ন ডলারের শুল্ক আরোপের চিন্তা করছে তারা।