যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্সিল ছাড়ার ঘোষণায় মার্কিন মানবাধিকার সংস্থাতেই অসন্তোষ

যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার কাউন্সিল ছাড়ার সিদ্ধান্তে খোদ মার্কিন মানবাধিকার সংস্থাতেই অস্বস্তি ও হতাশা দেখা দিয়েছে। মানবাধিকার সুরক্ষায় কাউন্সিলের ভূমিকার প্রশংসা করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এইচআরডব্লিউ যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে ট্রাম্প প্রশাসনের ‘একপেশে মানবাধিকার নীতি’র প্রতিফলন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কমিশনে থাকা অন্য দেশগুলোকে আরও জোরালোভাবে মানবাধিকার সুরক্ষায় সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

_76864667_rothগত বছরও এই কাউন্সিলকে ‘ইসরায়েল-বিরোধী’ আখ্যা দিয়েছিলেন হ্যালি। মঙ্গলবার কমিশন ছাড়ার ঘোষণা দিতে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও'র সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে হ্যালি বলেন, কাউন্সিলটি ‘মানবাধিকার রক্ষার প্রশ্নে খুবই দুর্বল সংগঠন।’ তার অভিযোগ  ‘ভণ্ড ও নিজ স্বার্থে পরিচালিত’ এই কাউন্সিল আসলে ‘মানবাধিকারের নামে রসিকতা করে’।

যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত আদতে একপেশে মানবাধিকার নীতির প্রতিফলন, আর ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের পক্ষ নেওয়ার বিষয়টিই সবার আগে এসেছে।

তিনি বলেন, ‘সিরিয়া, মিয়ানমার, দক্ষিণ সুদান ও উত্তর কোরিয়ায় মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। তবে ট্রাম্পের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ইসরায়েলের সমর্থন করা। গতবারও একই কারণে তারা কাউন্সিল থেকে সরে দাঁড়ায়। এখন অন্যান্য সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আরও বেশি চেষ্টা করতে হবে।’

কমিশন ছেড়ে যাওয়ার মার্কিন ঘোষণার অল্প সময়ের মধ্যে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান রা’দ আল হোসেন বলেন, ‘হতাশাজনক হলেও অপ্রত্যাশিত নয়। আজকের বিশ্বমানবাধিকার পরিস্থিতির সাপেক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের সামনের দিকে তাকানো উচিত। পেছনে ফিরে যাওয়া উচিত নয়।’