মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের ডেডলাইন

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগে শুনানির জন্য মিয়ানমারকে মত জানাতে ডেডলাইন বেঁধে দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। বৃহস্পতিবার আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ২৭ জুলাইয়ের মধ্যে জবাব দিতে হবে মিয়ানমারকে।

International-Criminal-Court-ICC

গত বছরের আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে পালিয়ে আসা এসব নারীর বেশিরভাগই নিরক্ষর। আদালেতে তাদের আবেদনটির পাশাপাশি আঙুলের ছাপযুক্ত ২০ পৃষ্ঠার একটি বেগুনি রংয়ের নথিও সংযুক্তি হিসেবে দেওয়া হয়েছে। একে আবেদনকারী ৪০০ রোহিঙ্গা নারীর স্বাক্ষরপত্র হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। আইনজীবীদের দাবি, মিয়ানমারকে বিচারের মুখোমুখি করা না গেলে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন চলতেই থাকবে।

আইসিসিতে জমা দেওয়া আবেদনপত্রে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কাছে অনুরোধ করা হয় যেন আদালত রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চলমান নৃশংসতা নিয়ে তদন্ত শুরু করে। বৃহস্পতিবার অপরাধ আদালত জানায়, ‘মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের মাধ্যমে জোর করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে বক্তব্য আশা করছে আদালত।’

মিয়ানমারে সরাসরি এই আদালত কার্যক্রম চালাতে পারবে না কারণ তারা সদস্য নয়।  তবে বাংলাদেশের মাধ্যমে তারা এই বিচারকার্য সম্পন্ন করতে চায়। প্রসিকিউটর ফাতু বেনসুদা বলেন, জোর করে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আদালতের সীমাবদ্ধতার কথাও জানান তিনি।

আইসিসির বিচারকরা মিয়ানমারকে রোহিঙ্গা নিপীড়ন ও দেশত্যাগে বাধ্য করার বিষয়ে জবাব দেওয়ার আহ্বান জানায়।