কাশ্মিরে ভারতীয় বাহিনীর অভিযানে লস্কর-ই-তৈয়বার কমান্ডারসহ নিহত ২

দক্ষিণ কাশ্মিরের কুলগ্রামে রবিবার (২৪ জুন) ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি নিহত হয়েছে। কাশ্মির পুলিশের দাবি, নিহতদের মধ্যে লস্কর-ই-তৈয়বার ডিভিশনাল কমান্ডারও রয়েছে। শুক্রবার (২২ জুন) কেন্দ্রের ঘোষিত জঙ্গি-হিটলিস্টে ওই লস্কর-কমান্ডারের নাম ছিল। এছাড়া রবিবার আরও এক জঙ্গি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বলেও দাবি করেছে পুলিশ। কাশ্মির পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তা এসপি বৈদ্যকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম খবরটি জানিয়েছে।

ভারতীয় বাহিনীর অভিযান (ফাইল ফটো)
গত শুক্রবার ২১ জন সন্দেহভাজন জঙ্গির একটি হিটলিস্ট প্রকাশ করেছিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে কুলগামের বাসিন্দা শাকুরকে এ প্লাস শ্রেণিতে রাখা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, শিগগিরই এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামবে নিরাপত্তা বাহিনী। তার ৪৮-ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে তালিকায় থাকা এক লস্কর জঙ্গি নিহত হওয়ার দাবি করা হলো।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইকে উদ্ধৃত করে এনডিটিভি জানায়, আগামী ২৮ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে অমরনাথ যাত্রা। তার আগে গোটা এলাকা ও সড়কে নিরাপত্তা জোরদার করতে জম্মু ও কাশ্মির পুলিশের সশস্ত্র ফোর্স, সিআরপিএফ ও সেনা সদস্যরা একত্রিত হয়ে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল। রবিবার দুপুরে কুলগ্রামের চেদ্দার কাইমোহ এলাকায় জঙ্গিদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়।
সে সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ২ সন্দেহভাজন জঙ্গির মৃত্যু হয়। এদের মধ্যে একজন হলো লস্করের ডিভিশনাল কমান্ডার শাকুর আহমেদ দার। ‘বন্দুকযুদ্ধ’র ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুলগ্রামে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। 

রমজান মাস উপলক্ষে ভারত সরকারের একতরফাভাবে ঘোষিত ৩০ দিনের অস্ত্রবিরতি শেষে ১৭ জুন কাশ্মিরে আবারও সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, অস্ত্রবিরতি চলাকালীন ছয় বেসামরিক, ৯ নিরাপত্তাকর্মী ও ২০ জনেরও বেশি বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই লাইন অব কন্ট্রোলের কাছে মারা গেছে। এ সহিংসতা চলার মধ্যে প্রখ্যাত সাংবাদিক সুজাত বুখারিতে রহস্যজনকভাবে হত্যা করা হয়।