অভিবাসন বিষয়ে চুক্তির জন্য ইইউ’র প্রতি ম্যার্কেলের আহ্বান

অনিয়মিত অভিবাসন সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে ইউরোপীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল। তিনি জার্মান পার্লামেন্টকে বলেছেন, এটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জন্য একটি যুগান্তকারী সময় হতে পারে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

merkel

ইউরোপে অনিবন্ধিত অভিবাসী বিশেষ করে আফ্রিকান অভিবাসীদের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণের উপায় খোঁজার ব্যাপারে আসন্ন ইইউ সম্মেলনে জোর দেওয়ার জন্য মের্কেল এই আহ্বান জানান। আফ্রিকান অভিবাসনপ্রত্যাশীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভূ-মধ্য সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিচ্ছে। নতুন অভিবাসীর আগমন ঠেকানোর বিষয়টি নিয়ে মের্কেল চাপের মুখে আছেন।

মের্কেলের জোটসঙ্গী সিএসইউ দলের থেকে নিয়োগ দেওয়া জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হোর্স্ট সিহোফার মের্কেলেকে আগামী রবিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। এর মধ্যে কোনও উপায় বের করতে না পারলে তিনি তাদের সীমান্তে অবস্থান নেওয়া অভিবাসীদের তাড়িয়ে দেবেন বলেও হুমকি দিয়ে রেখেছেন।

সিরিয়া যুদ্ধসহ অন্যান্য সংঘাতের কারণে পালিয়ে আসা শরণার্থীসহ অভিবাসীরা জরুরিভিত্তিতে আশ্রয় প্রার্থনা করছেন। তবে এখনও ২০১৫ সালের মতো অবস্থা হয়নি। ওই সময় প্রতিদিন হাজার হাজার অভিবাসী গ্রিসের দ্বীপে আশ্রয় নিচ্ছিলেন। ইইউ’র কৌশলগত নেতৃত্ব ইউরোপিয়ান কাউন্সিল বলেছে, ২০১৫ অক্টোবর মাসের তুলনায় এখন অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা এখন ৯৬ শতাংশ কমে গেছে। ওই সময় সর্বোচ্চ সংখ্যক শরণার্থী ইউরোপে প্রবেশ করেছে।

কিন্তু এই মাসে ইতালির বন্দরগুলোতে অভিবাসী উদ্ধারকারী জাহাজ ও সবশেষে জার্মান দাতব্য জাহাজগুলোকে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় উত্তেজনা বেড়েছে। এতে বিষয়টি আবারও সবার সামনে চলে এসেছে। শুধুমাত্র মাল্টা জার্মান জাহাজগুলোকে নোঙর করতে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইউরোপের কয়েকটি দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েনও শুরু হয়েছে। দেশগুলো এসব অভিবাসীর একটা অংশকে আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছিল। মাল্টা জানিয়েছে, নরওয়েও এখন অভিবাসীদের একটি অংশকে নিজ দেশে আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে।

ইউরোপের ডুবলিন নীতি ভেঙে পড়েছে। ওই নীতির আওতায় অভিবাসীরা ইউরোপের যে দেশে প্রবেশ করবে সেখানেই আশ্রয় চাইবে। তবে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অভিবাসী ঢুকেছে ইতালি ও গ্রিসে। তারা এখন প্রতিবেশি দেশগুলোকে তাদের বোঝার ভার ভাগ করে নেওয়ার দাবি করছে।