ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের

ইরানের কাছ থেকে তেল আমদানি বন্ধ না করলে ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে চুক্তিতে যাবে এমন যেকোনও দেশের সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করবেন তিনি।

2018_5-5-donald-trumpDonald_J._Trump_at_Marriott_Marquis_NYC_September_7th_2016_04-1

২০১৫ সালের জুনে তেহরানের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬ জাতিগোষ্ঠীর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গত ৮ মে ইরানের বিরুদ্ধে সমঝোতা ক্ষুণ্নের অভিযোগ তুলে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জয়েন্ট কমপ্রিহেন্সিভ প্লান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামের এই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে চুক্তি কার্যকর রাখতে প্রতি তিন মাস পরপর দেশটির প্রেসিডেন্টের সম্মতি দরকার। ১২ মে পরবর্তী তিন মাসের জন্য এই চুক্তিতে ট্রাম্প স্বাক্ষর না করায় যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে সমঝোতা ভেস্তে গেছে।

তবে ইরানের কাছ থেকে তেল আমদানি করে ভারত। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব তাই তার ওপরও পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পর ইরানই সবচেয়ে বড় তেল রফতানিকারক দেশ।

ট্রাম্প জানিয়েছেন, যেকোনও দেশ ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখলে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বে। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন,এতে করে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্কে প্রভাব পড়বে কিনা। জবাবে বলা হয়, ‘অবশ্যই ভারতের ওপর প্রভাব পড়বে’। ট্রাম্প বলেন, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে চীন ও ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে প্রভাব পড়বে।

ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, তারা শুধু জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাকেই অনুসরণ করবে। কোনও দেশের একক নিষেধাজ্ঞায় তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবে না।

পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ ও ইরানের কাছ থেকে তেল কেনা নিয়ে মার্কিন-ভারত সম্পর্ক জটিলতায় রয়েছে। ২৩ জুন টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, শুল্কারোপ নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ চললেও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এক হাজার বেসামরিক পরিবহন বিমান কিনতে চায় ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তেল ও গ্যাস আমদানিও বাড়াতে চাইছে ভারত। এজন্য নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।