দিল্লির বাসে মেডিক্যাল শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলায় ফাঁসির রায় বহাল

২০১৭ সালেই ভারতের সর্বোচ্চ আদালত দিল্লির চলন্ত বাসে এক মেডিক্যাল শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। সেই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিল আসামীদের ৩ জন। সোমবার ভারতীয় আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে আসামীদের সর্বোচ্চ সাজা বহাল রেখেছে।
noname

২০১২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হন ওই মেডিক্যাল শিক্ষার্থী। মিডিয়া তাকে 'নির্ভয়া' নামে ডাকতে শুরু করে। ঘটনার ১৩ দিন পর সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ ঘটনার পর দেশ জুড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন-প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। মেয়ের মৃত্যুর তিন বছর পর সমস্ত কুন্ঠা ত্যাগ করে নির্ভয়ার আসল নাম জ্যোতি সিং বলে জানান মা আশা। রাম সিং নামে এই মামলার পঞ্চম অভিযুক্ত তিহার জেলে রহস্যজনকভাবে মারা যায়। এই মামলার ষষ্ঠ অভিযুক্ত যে অপরাধের সময় নাবালক ছিল, তাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড তিন বছরের জন্য সংশোধনাগারে পাঠায়। তবে ২০১৫-র নভেম্বরে সে ছাড়া পায়।

মামলায় হাইকোর্ট মুকেশ সিং, পবন গুপ্ত, বিনয় শর্মা ও অক্ষয় ঠাকুর-এই চার আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছিল। ২০১৭ সালের ৫ মে ওই মামলায় দেওয়া হাইকোর্টের সাজা বহাল রাখেন বিচারপতি। এদের মধ্যে মুকেশ, পবন ও বিনয় সর্বোচ্চ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছিল। সোমবার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি আর ভানুমতী ও বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চ তাদের ফাঁসির সাজা বহাল রাখার আদেশ দেন। অপর এক দোষী অক্ষয় কুমার সিংহ মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিরুদ্ধে আবেদন জানায়নি।
গত বছরের মে মাসে এই মামলার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, 'ধর্ষণের পর নির্ভয়াকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা এই মামলাটি সবথেকে নজিরবিহীন ঘটনাগুলোর একটি, যেখানে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ সাজার দণ্ড দিতে সমর্থ হয়েছি আমরা'।