অভিবাসী শিশুদের আটক রাখার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন খারিজ

অবৈধ অভিবাসী বাবা-মায়ের শিশু সন্তানদের আটক রাখতে ট্রাম্প প্রশাসনের একটি পরিকল্পনা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। ট্রাম্প প্রশাসনের করা ওই আবেদন সোমবার বাতিল করে দেয় আদালতের একজন বিচারক। মেক্সিকো সীমান্ত থেকে আটক অভিবাসী পরিবারের সদস্যদের আটক রাখতে এই আবেদন জানিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন।noname
ফ্লোরস অ্যাগ্রিমেন্ট নামে পরিচিত ১৯৯৭ সালে আদালতের এক আদেশে অবৈধ অভিবাসীদের আটক সন্তানদের ২০ দিনের মাথায় মুক্তি দিতে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়। আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের (এসিএলইউ) করা একটি মামলায় গত ২৬ জুন সান ডিয়াগোর ফেডারেল বিচারপতি ডানা সাবরাও ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের ১৪ দিনের মধ্যে আর তার চেয়ে বড় শিশুদের ৩০ দিনের মধ্যে একত্রিত করার নির্দেশ দেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব শিশুকে একত্রিত করার জন্য আরও সময় চাওয়া হয়।  

গত ২৯ জুন লস এঞ্জেলস ডিস্ট্রিক্ট আদালতে ট্রাম্প প্রশাসনের আইনজীবীরা বলেছেন, অভিবাসন ইস্যু চূড়ান্ত হওয়া পর্যন্ত বাবা-মায়েদের সঙ্গে আটক রাখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। তবে সোমবার ওই আবেদনকে ‘সন্দেহজনক’ ও ‘প্রত্যয়যোগ্য নয়’ বলে খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় মেক্সিকোর অবৈধ অভিবাসন-প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে শক্ত আটক অভিযান পরিচালনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। পরিবর্তিত অভিবাসন নীতিতে যারাই অনিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমেরিকা প্রবেশের চেষ্টা করবে, তাদেরকেই আটক করা হচ্ছে। পরিবারের পূর্ণ বয়স্ক নারী-পুরুষ আটক হওয়ার কারণেই সুরক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে এসব অভিবাসী পরিবারের শিশুরা। আলাদা এক মামলায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া এসব শিশুদের একত্রে রাখতে দীর্ঘ মেয়াদে আটক রাখার নির্দেশ দেয়। ট্রাম্প প্রশাসনের আইনজীবীদের দাবি ওই আদেশ মানতে গিয়েই শিশুদের আটক রাখার আবেদন জানানো হয়েছিল আদালতে।

আদালতের রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন বিচার মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডেভিন ও’ম্যালি বলেছেন আদালতের রায়ের সঙ্গে একমত নয় প্রশাসন। সরকার এই ধরণের (আটক রাখার)কাজ অব্যাহত রাখতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি জানান, সীমান্ত অতিক্রম করা বাবা-মায়েদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। এখন অবশ্যই এসব শিশুদের পরিবারের বাকি সদস্যদের থাকতে হবে অথবা তাদের থেকে আলাদা করার আবেদন করে কোনও স্পন্সরের কাছে রাখতে হবে।

তবে বাদীপক্ষের আইনজীবী পিটার স্কে বিচার বিভাগের এই বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলেছেন বিচারকের রায় শিশুদের সঙ্গে আচরণ কেমন হবে তা নিয়ে। এছাড়া বাবা-মায়ের সঙ্গে কোন আইনে আচরণ করা হবে তা নিয়ে আাদালত কোনও সিদ্ধান্ত দেয়নি।