জাপানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৯

জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণ, বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৯-তে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার সরকারের একজন মুখপাত্র এ তথ্য জানিয়েছেন। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। বুধবার দুর্যোগকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ১০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে এনে রাখতে হয়েছে। হাজার হাজার উদ্ধারকর্মী ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে ভুক্তভোগীদের বের করে আনার চেষ্টা করছেন।

রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাত হওয়ায় জাপানে প্রবল বন্যা ও ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটে। অতি বৃষ্টিতে নদীর পানি বেড়ে যায় এবং বন্যা দেখা দেয়। আক্রান্ত এলাকাগুলোতে সব ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। বেশিরভাগ মানুষ নিহত হয়েছেন হিরোশিমা এবং তার আশেপাশের এলাকাগুলোতে। জাপানের চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি ইয়োশিহিদে সুগা জানিয়েছেন, উদ্ধার তৎপরতার চালানোর জন্য জাপান সরকার ৭৫ হাজার সেনা ও উদ্ধারকর্মী মাঠে নামিয়েছে। প্রায় ৮০টি হেলিকপ্টার যুক্ত করা হয়েছে উদ্ধার অভিযানে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বন্যা ও ভূমিধসে দুই লাখ ৫৫ হাজার ঘরবাড়ির পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বন্যার ঘটনায় অ্যাবে তার পূর্ব নির্ধারিত সফরের কর্মসূচি বাতিল করেছেন। তার মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার কথা ছিল। দুর্যোগকবলিত কুরাশিকি অঞ্চল পরিদর্শনে গেছেন শিনজো আবে। তিনি বলেন, উদ্ধারকর্মীরা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছেন। এখনও অনেক মানুষ নিখোঁজ এবং অনেকের সহযোগিতা প্রয়োজন।

ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাটের কারণে ত্রাণসামগ্রী প্রত্যাশিত গতিতে পৌঁছানো যাচ্ছে না। ঘরবাড়ি বিনষ্টের ঘটনা যেমন ঘটছে, তেমনি অভাব তৈরি হয়েছে সুপেয় পানির। তার ওপর বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।