শিশুদের বিচ্ছিন্নতার দায় পরিবারের ওপর চাপালেন ট্রাম্প

মেক্সিকো সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশকারী অভিবাসীদের কাছ থেকে তাদের শিশুদের বিচ্ছিন্ন করা নিয়ে ফের তীর্যক মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভয়ঙ্কর অভিবাসন আইন ঠিক করার জন্য কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটরা এখন আর কোনও বাধা নয়। আমি ইউরোপ থেকে দেখছি, কী হতে যাচ্ছে! এর সমাধান খুবই সহজ। বিচারকরা এই ব্যবস্থা পরিচালনা করবেন। অবৈধ ও পাচারকারীরা জানে, কিভাবে এটি কাজ করে। তারা শুধু শিশুদের ব্যবহার করছে।’

ডোনাল্ড ট্রাম্পবুধবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ন্যাটো সম্মেলন থেকে টুইটারে এই পোস্ট দেন ট্রাম্প। এদিনের সম্মেলনে জার্মানিসহ জার্মানিসহ যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্রদেরও একহাত নেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টজেন নিয়েলসেন অবশ্য জানিয়েছেন, তার দফতর একটি কার্যলয় খুলেছে যেটি মধ্য আমেরিকা ও মেক্সিকো সরকারকে পরিবারগুলোর পুনঃএকত্রীকরণের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করবে।

পরিবার-বিচ্ছিন্ন পরিবারগুলোর পুনঃএকত্রীকরণের ব্যাপারে গত মঙ্গলবার গুয়াতেমালায় মেক্সিকো, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস ও এল সালভেদরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে মেক্সিকো সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশকারী অভিবাসীদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করা শিশুদের বৃহস্পতিবার ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, শিশুরা এদিন মা-বাবার কাছে ফিরতে পারবে।

জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় মেক্সিকোর অবৈধ অভিবাসন-প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান পরিচালনা করছে ট্রাম্প প্রশাসন। আগে মেক্সিকো থেকে সীমান্ত পেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবার প্রবেশকারীদের মধ্যে যারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটনে আসছে বলে আলামত পাওয়া যেত, তাদেরই কেবল আটক করা হতো। পরিবর্তিত অভিবাসন নীতিতে যারাই অনিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমেরিকা প্রবেশের চেষ্টা করছে, তাদেরই আটক করা হচ্ছে। পরিবারের পূর্ণ বয়স্ক নারী-পুরুষ আটক হওয়ার কারণেই তাদের সুরক্ষা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওই শিশুরা। তবে এরই মধ্যে প্রায় ৩০০০ শিশুকে তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে পুনর্মিলনে প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আশা করছি ১২ জুলাই সকালের মধ্যেই পাঁচ বছরের কম বয়সী সব শিশুদেরই আমরা আদালতের রায় অনুযায়ী বাবা-মা’র কাছে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হবো।’ সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।