গুপ্তচরবৃত্তির প্রযুক্তির মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদকে সুরক্ষিত করছে ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন

গুপ্তচরবৃত্তির প্রযুক্তি রফতানির মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদকে সুরক্ষিত করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। দুনিয়ার নানা প্রান্তের বিভিন্ন দেশে এমনকি স্বৈরাচারী সরকারগুলোর কাছেও নজরদারির প্রযুক্তি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। দেওয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ। এমনটাই উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা প্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে। মঙ্গলবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের প্রযুক্তি রফতানির মাধ্যমে নাগরিকদের বিরুদ্ধে কর্তৃত্ববাদ ও অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।

nonameপ্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনালের ওই প্রতিবেদনের শিরোনাম করা হয়েছে, স্টেট স্পন্সরস অব সার্ভেইলেন্স: দ্য গভর্নমেন্টস হেল্পিং আদার্স স্পাই’। এতে বলা হয়, ব্রাসেলস, ওয়াশিংন ও বেইজিং বিদেশিদের নিরাপত্তা সহায়তা এবং তাদের অত্যাধুনিক নজরদারি প্রযুক্তিতে সজ্জিতকরণ ও এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এমন দেশগুলোতেও এসব নজরদারির সামগ্রী রফতানি করা হয় যেখানে আইনের শাসনের অভাব রয়েছে। এটি এসব দেশগুলোতে ব্যক্তির অধিকার ও নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করে।

প্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনালের এদিন ওমানোভিক আল জাজিরা’কে বলেন, এ ইস্যুতে স্বৈরাচারী শাসনে থাকা দেশগুলোসহ যেসব দেশের ব্যাপারে আমরা খোঁজ নিয়েছি তাতে দেখা গেছে, নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ও নজরদারি সক্ষমতার বিষয়টিতে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে অন্য কোনও দেশের সরকার। বিশেষ করে তারাই এ পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে যাদের নজরদারি বিষয়ক শক্তিশালী সংস্থা রয়েছে। তারা হয় এক্ষেত্রে অর্থায়ন করছে, প্রশিক্ষণ দিচ্ছে অথবা যন্ত্রপাতির মাধ্যমে এ ব্যাপারে তাদের সুসজ্জিত করছে।

এদিন ওমানোভিক বলেন, এটা পরিষ্কার যে, দুনিয়াজুড়ে এই নজরদারি বেড়েছে, এর অপব্যবহার হচ্ছে।

তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যবশত, বিশ্বব্যাপী সরকারগুলো কিভাবে নজরদারিকে ব্যবহার করছে আমরা নিয়মিতভাবে তার ভয়ঙ্কর সব উদাহরণ দেখেছি। ক্ষমতায় টিকে থাকতে অ্যাক্টিভিস্ট, সাংবাদিক ও বিরোধীদলের সদস্যদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে এমন গুপ্তচরবৃত্তি চালানো হয়।

প্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনালের এই কর্মকর্তা আল জাজিরা’কে বলেন, ‘কোন সন্দেহ নেই, এই প্রকল্পের অনেকগুলো মানুষের অধিক নিরাপত্তায় অবদান রাখছে। কিন্তু এই মুহূর্তে এসব প্রকল্পের স্বচ্ছতার বিষয়টি জল্পনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর প্রকৃত প্রভাব সম্পর্কে পাওয়া তথ্য খুবই অপ্রতুল।