অতি উচ্চতায় কার্যকর রকেট বানাচ্ছে চীন, শঙ্কায় ভারত

সামরিক বাহিনীর গোলন্দাজ শাখার জন্য বিদ্যুৎ ও চুম্বক শক্তিতে নিক্ষেপযোগ্য (ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক ক্যাটাপুল্ট) রকেট প্রযুক্তি তৈরি করছে চীন। যা তিব্বতের সায়ত্বশাসিত অঞ্চলের (টিএআর) মতো অতি উচ্চতাতেও কার্যকর থাকবে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। তাদের আশঙ্কা, এই রকেট ভারতের সীমান্তেও মোতায়েন করা হতে পারে।noname
নতুন এই উদ্ভাবনকে ‘অভূতপূর্ব’ বলে বর্ণনা করে চীনের সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, এই রকেট ২০০ কিলোমিটারের অভ্যন্তরে যেকোনও লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। এছাড়া এটি প্রচলিত যেকোনও গোলন্দাজ বন্দুকের চেয়ে বেশি শক্তিশালী ও কার্যকর হবে। ওই রিপোর্টে ভারত সীমান্তে মোতায়েনের কথা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়নি। তবে এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সামরিক বিজ্ঞানীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় চীন সীমান্ত এলাকার সামরিক ঘটনায় এই প্রযুক্তির রকেট ব্যবহার করা যেতে পারে। চীনের দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তে ভারতের অবস্থান।

ওই রকেট কোথায় মোতায়েন করা হবে তা নিয়েও খুব বেশি অনুমানের সুযোগ চীনের সংবাদে রাখা হয়নি বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

গত বছর সিকিম সীমান্তের দোকলামে চীন ও ভারত ৭৩ দিন ধরে পাল্টাপাল্টি সামরিক অবস্থান নিয়ে ছিল। ভুটানের দাবি করা অঞ্চল দিয়ে চীনা নাগরিকেরা একটি কৌশলগত সড়ক তৈরির চেষ্টা চালালে ভারত তাতে বাধা দেয়। ওই সময়ে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির পিপল’স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) এর প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেয়। পরে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে ওই মুখোমুখি অবস্থানের অবসান হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর কারও কারও ধারণা তাদের সেনা কৌশলগতভাবে সুবিধাজনক অবস্থানে থাকায় চীন কূটনৈতিক আলোচনায় সমাধান নেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেইজিংয়ের পিএলএ’র গবেষণা কেন্দ্রে নতুন উদ্ভাবিত ‘ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ক্যাটাপুল্ট রকেট আর্টিলারি টেকনোলজি’ ভারতের সেই সুবিধাকে অতিক্রম করে ফেলতে পারে।

একই ধরণের প্রযুক্তি যুদ্ধজাহাজ ও বিমানেও ব্যবহার করা যেতে পারে বলেও বিশেষজ্ঞদের ধারণা। আগামীতে স্বল্প সময়ের মধ্যে যেকোনও স্থানে আঘাত হানতে চীন তাদের যুদ্ধজাহাজ ও বিমানেও প্রযুক্তির সমাবেশ ঘটাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।