যমুনা তীরে অটল বিহারী বাজপেয়ীর শেষকৃত্য সম্পন্ন

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার দিল্লিতে যমুনা নদীর তীরের স্মৃতিস্থলে যথাযোগ্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্যের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন তার পালিত কন্যা নমিতা ভট্টাচার্য। ওই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ ছাড়াও ভুটানের রাজা জিগমে সিংহে ওয়াংচুক, সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদর কারজাই উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস।যমুনা নদীর তীরে অটল বিহারী বাজপেয়ীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠান
১৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার দিল্লির অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল সার্ভিসেস (এআইএমএস) হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিন দফায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা অটল বিহারী বাজপেয়ী। কিডনি ইনফেকশনসহ একাধিক সংক্রমণের কারণে গত ১১ জুন থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৯৩ বছর বয়সী এই বিজেপি নেতা।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, শেষকৃত্য অনুষ্ঠানের আগে বাজপেয়ীর মরদেহ দীন দয়াল উপাধ্যায় সড়কে ভারতের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে শেষকৃত্যের জন্য স্মৃতিস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। বাজপেয়ীর মরদেহ বহনকারী গাড়িবহরের সঙ্গে ৪ কিলোমিটার পথ হেঁটে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গাড়িবহরের সঙ্গে বিজেপির সিনিয়ন নেতাদের পাশাপাশি ছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহও। স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে চারটায় বাজপেয়ীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ছাড়াও সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের নেতারাও অংশ নেন।

ভারতের প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দ, ভাইস প্রেসিডেন্ট এম ভেনকাইয়াহ নাউডু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা মনমোহন সিংহ, বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা এল কে আদভানি বাজপেয়ীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এছাড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে রাজনাথ সিংহ, রবি শঙ্কর প্রসাদ, সুষমা স্বরাজ, নির্মলা সীতারমণ ও নিতীন গাদকরি উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান, পাঞ্জাবের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিংহ বাদল, সমাজবাদী পার্টি নেতা মুলায়াম সিংহ যাদবও এই শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে শামিল হন।

এর আগে অটল বিহারী বাজপেয়ীর মরদেহ বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হলে দলটির হাজার হাজার সমর্থক দলটির অন্যতম এই প্রতিষ্ঠাতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানায়। তিনরঙা ভারতীয় পতাকায় আবৃত করে ৬/এ কৃষ্ণ মেনন সড়কের নিজ বাড়ি থেকে ‘ভারতরত্ন’ খেতাব  পাওয়া এই নেতার মরদেহ বিজেপি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই সময়ে সাদা ফুলে শোভিত ওই গাড়িবহর ঘিরে ‘অটল বিহারী বাজপেয়ী চিরজীবী হউন’, ‘বন্দে মাতরম’ স্লোগান দিতে থাকেন সমর্থকরা।