ইমরানের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য, চীন, তুরস্ক, ইরান

পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী যুক্তরাজ্য, চীন, তুরস্ক ও ইরান। শনিবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খান দায়িত্ব গ্রহণের পর তাকে পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তায় নিজ নিজ দেশের এমন অবস্থানের কথা জানান দেশগুলোর নেতারা। তারা আশাবাদ জানিয়েছেন, ইমরানের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।

রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান, থেরেসা মে এবং হাসান রুহানিশনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পিটিআই নেতা ইমরান খানের শপথগ্রহণের পর থেকেই আসতে শুরু করে বিশ্বনেতাদের ফোন ও শুভেচ্ছা বার্তা। এ তালিকায় রয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানিসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা। এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

দায়িত্ব গ্রহণের পর ফোনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র সঙ্গে কথা বলেছেন ইমরান খান। ওই ফোনালাপের পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দফতর ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, নির্বাচনে জয় এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় ইমরান খানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে।

টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে থেরেসা মে বলেছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে কথা বলে ভালো লেগেছে। যুক্তরাজ্য ও পাকিস্তানের মধ্যে গভীর ও গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের দুই দেশের একসঙ্গে করার মতো প্রচুর কাজ রয়েছে।

ফোনালাপে শিগগিরই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ব্যপারে একমত হন দুই নেতা।

ইমরান খানকে পাঠানো এক চিঠিতে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান তার সফলতা কামনা করেছেন।

চিঠিতে এরদোয়ান বলেন, আমি সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করি যে আমাদের মধ্যে বিদ্যমান ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতার সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরও সমৃদ্ধ হবে; যা দুই দেশের জনগণের জন্য কল্যাণ ও সমৃদ্ধি বয়ে নিয়ে আসবে।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, তুরস্কের সংকটকালে আপনি যে সংহতি প্রদর্শন করেছেন তাতে আমাদের দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস, আপনার সৎ নেতৃত্ব তুরস্ক ও পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সহায়ক হবে।

শনিবার ইমরান খানকে অভিনন্দন জানিয়ে লেখা এক চিঠিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় আপনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। ইসলামাবাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতা বাড়াতে তেহরান প্রস্তুত।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, শপথগ্রহণের পর প্রথম বিদেশ সফরে ইরান যাবেন ইমরান খান। এরপর তিনি সৌদি আরব সফর করবেন।

চীনের প্রেসিডেন্ট লি কেকিয়াং ইমরানকে অভিনন্দন জানিয়ে দেওয়া বার্তায় বলেছেন, চীন ও পাকিস্তান সব সময়ের বন্ধু। বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও উভয়দেশের সম্পর্ক ছিল ভালো ও স্থিতিশীল। চীন-পাকিস্তান উন্নয়ন সম্পর্ক নিয়ে ইমরানের ইতিবাচক মন্তব্যেরও প্রশংসা করেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হেদার নোয়ার্ট নিজের অফিসিয়াল টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, আমরা পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথগ্রহণকে স্বীকৃতি দেই এবং তাকে স্বাগত জানাই। পাকিস্তান এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য নতুন বেসামরিক সরকারের সঙ্গে কাজ করার জন্য অপেক্ষা করছে ওয়াশিংটন।

এছাড়া সম্প্রতি পাকিস্তানে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেক্সি দেদভ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন ইমরানের কাছে। ওই বার্তায় পুতিন পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। সূত্র: ডন।