যুক্তরাজ্যে নিজ রেস্তোরাঁর অর্জন উদযাপন করছেন বাংলাদেশি কারি এক্সপার্ট

বহু বছর আগে যুক্তরাজ্যের ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের লিডসের ক্রস গেটস এলাকায় স্পাইস জোন নামের একটি কারি হাউস প্রতিষ্ঠা করেন মো আলী। চলতি সপ্তাহে এক ভোটাভুটিতে এটি তার এলাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট বা কারি হাউস নির্বাচিত হয়। নিজ প্রতিষ্ঠানের এমন জয় উদযাপন করছেন মো আলী।

nonameভাতিজা সৈয়দ জাবের আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে রেস্টুরেন্টটি চালু করেছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা মো আলী। কারি হাউসে যে ফর্মুলা ব্যবহারের জন্য এমন জনপ্রিয়তা তা নিয়েও কথা বলেছেন মো আলী। তিনি বলেন, ব্রিটিশ কারিপ্রেমীদের কাছে তিনি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী কারি শিল্পকে তুলে ধরেছেন।

মো আলী বলেন, তার প্রতিষ্ঠানের খাবারের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশে সাধারণভাবে জনপ্রিয় খাবারগুলো। রয়েছে ভুনা, ভিন্দালো এবং মাদ্রাজের মতো খাবারগুলো। তবে আমরা মূলত গ্রাহকদের কাছে এমন খাবার তুলে ধরতে পছন্দ করি যা আমরা নিজেদের ঘরে খেয়ে থাকি।

তিনি বলেন, এখানকার খাবারগুলোর অধিকাংশই আমরা নিজেরাও খেয়ে থাকি; যা গ্রাহকদের কাছেও পরিবেশনের চেষ্টা করি। আমরা চাই, তারাও এসব খাবার চেখে দেখুক। ব্রিটিশ নাগরিকরা দীর্ঘদিন ধরেই কারি খাচ্ছেন। তারা জানেন, ভালো কারি আসলে কী জিনিস।

মো আলীর রেস্টুরেন্টের শেফ হচ্ছেন তার আরেক ভাতিজা রিপন আলী। তিনিও তাদের এই পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে গর্বিত। চলতি বছর তাদের প্রতিষ্ঠানের ১৭তম বার্ষিকী পালিত হচ্ছে।

দুই বছর আগের ভোটাভুটিতে ১০ম হয়েছিল স্পাইস জোন। এর দুই বছরের মাথায় শীর্ষস্থানে পৌঁছানোর ঘটনায় তিনি বেশ আনন্দিত।

২০১৮ সালে কারি হাউস অব দ্য ইয়ারের এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থান লাভ করে আরেক ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ‘সিলেটি বালতি’। এটি কিপাক্সের লিডস রোড এলাকায় অবস্থিত।

যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতে দেশটির কারি শিল্পের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। অর্থনীতিতে এর আনুমানিক অবদান ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন পাউন্ড। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রেস্টুরেন্ট বাংলাদেশি, পাকিস্তানি ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশদের দ্বারা পরিচালিত।