কানাডার পর এবার জার্মানির সঙ্গে জটিলতায় সৌদি আরব

কানাডার পর এবার জার্মানির সঙ্গে সম্পর্কেও জটিলতায় জড়িয়েছে সৌদি আরব। এই জটিলতাকে দুই দেশের নীরব সংকট হিসেবে আখ্যা দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, সৌদি আরব ও কানাডার মধ্যে কূটনৈতিক সংকটের ফলে জার্মানির সঙ্গেও রিয়াদের সম্পর্কে নীরব সংকট তৈরি হয়েছে। এর সূত্রপাত ঘটে তখন, যখন জার্মান ও ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমগুলো কানাডা ইস্যুতে সৌদি কর্তৃপক্ষের আচরণের সমালোচনায় সরব হয়।

nonameকানাডা ইস্যুতে সৌদি-জার্মান সম্পর্কে নতুন জটিলতা তৈরি হলেও দুই দেশের সম্পর্কে আগে থেকেই জটিলতা বিদ্যমান রয়েছে। ২০১৫ সালে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সৌদি জোটের সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর থেকে রিয়াদে জার্মানির রফতানির পরিমাণ দ্রুত গতিতে কমেছে। ২০১৭ সালের জুনে সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধেরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বার্লিন-রিয়াদ সম্পর্কে। ওই ইস্যুতে জার্মানি সরাসরি কাতারের পক্ষ নেয়।

সামগ্রিক বাস্তবতায় ২০১৮ সালের প্রথম ছয় মাসে জার্মানি থেকে সৌদি আরবে রফতানির পরিমাণ কমেছে পাঁচ শতাংশ। এরমধ্যেই খবর বেরিয়েছে, সৌদি আরব ও দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নীতির সমালোচনার কারণে জার্মানিকে ‘শাস্তি’ দিতে চায় সৌদি। মানবাধিকার ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে সমালোচনার ফলেও জার্মানির ওপর ক্ষুব্ধ রাজতান্ত্রিক দেশটি। সৌদি আরব জার্মান ঔষধের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে এবং ইতোমধ্যেই বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।