জাপানে গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত আরও কয়েকশ মানুষ। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এসোসিয়েটেড প্রেস।
আগের দিন মঙ্গলবার টাইফুনের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে স্থানীয়দের অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়। ওসাকা উপকূলে একটি ট্যাংকারকে উড়িয়ে ব্রিজের ওপর নিয়ে আসে। উড়ে যায় একটি রেলওয়ে স্টেশনের ছাদ। এছাড়া ঝড়ের আঘাতের দেশটির সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং একটি ট্যাংকার বিধ্বস্ত হয়েছে। পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন ৪০ হাজার মানুষ।
মঙ্গলবার শিকোকু দ্বীপে দুপুরের দিকে এই ঝড় শুরু হয়। এরপর দেশটির মূল দ্বীপ হনসু দিয়ে সেটি পশ্চিমাঞ্চলীয় স্থানগুলোতে আঘাত আনে। ধারণা করা হচ্ছে উত্তর দিকে যেতে যেতে এটি দুর্বল হয়ে পড়বে।
জেবি ১৯৯৩ সালের পর জাপানে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়। জাপানের আবহাওয়া দফতরের মুখপাত্র আকিরো কিকুচি বলেন, জেবি খুবই জোড়ে আঘাত এনেছে। ১৯৯৩ সালের পর এতবড় ঝড় দেখা যায়নি।
বিবিসি জানায়, অসংখ্য ফ্লাইট, ট্রেন ও ফেরি চলাচল বাতিল করা হয়েছে। ওসাকার জনপ্রিয় পার্ক ইউনিভার্সাল স্টুডিওস জাপানও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। জরুরি বৈঠক ডেকেছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। সূত্র: এপি, আল জাজিরা, বিবিসি।