যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলে হারিকেন ফ্লোরেন্স: ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে সরানোর নির্দেশ

যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলিনা ও ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে আঘাত হানতে যাচ্ছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফ্লোরেন্স। এ অঞ্চলে আঘাত হানা সবচেয়ে বড় ঝড় এটি। হারিকেন ফ্লোরেন্সকে মোকাবিলায় নেওয়া হচ্ছে আগাম সতর্কতা। সাউথ ক্যারোলিনা ও ভার্জিনিয়ার ১০ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) ঘর-বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। আবহাওয়াবিদদের ধারণা, বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাতের দিকে আঘাত হানতে পারে ঝড়টি।

হারিকেন ফ্রোরেন্স
বর্তমানে ক্যাটাগরি-৪ এর ঝড়ে রূপ নিয়েছে হারিকেন ফ্লোরেন্স। মার্কিন আবহাওয়া দফতরের সংজ্ঞা অনুযায়ী, ক্যাটাগরি-৪ ঝড় হলো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শক্তিশালী ঝড়। যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে এর আগে ৪ মাত্রার ঝড় আঘাত হানেনি।

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে সাউথ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের গভর্নর হেনরি ম্যাকমাস্টার বলেন, ‘ফ্লোরেন্স খুব বড়, খুব শক্তিশালী এবং একে কোনও কিছু দিয়ে আটকানো সম্ভব নয়।’ মঙ্গলবার দুপুর থেকে উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন ম্যাকমাস্টার। ১০ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। তিনি জানান, হারিকেন ফ্লোরেন্সের প্রভাবে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

উপকূলের নিম্নাঞ্চলে বসবাসরতদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ভার্জিনিয়ার গভর্নর। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হওয়ার কথা। ভার্জিনিয়া কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্ভাব্য ক্ষতির এলাকায় ২ লাখ ৪৫ হাজার মানুষ বসবাস করে। তবে ঝড়ের কারণে পুরো অঙ্গরাজ্যই ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।  

এদিকে হারিকেন ফ্লোরেন্সের কারণে আগামী শুক্রবার মিসিসিপিতে পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ বাতিল করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছেন তিনি।