লিবিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশী নিহত

লিবিয়া উপকূলে একটি রাবারের নৌকা ডুবে ২০ শিশুসহ শতাধিক অভিবাসন প্রত্যাশী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ত্রাণ সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স। চলতি মাসের শুরুতে এই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে বলে জানায় সংস্থাটি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

e2a209a56f804d68adf5f6aa708181e9_18সোমবার বেঁচে যাওয়া একজনকে উদ্ধৃত করে দাতা সংস্থাটি জানায়, নিহতদের মধ্যে ১৭ মাস বয়সী জমজ ও তাদের বাবা-মাও ছিলো। ১ সেপ্টেম্বর লিবিয়া উপকূল থেকে যাত্রা ‍শুরু করে নৌকা দুটি। সুদান, মালি, নাইজেরিয়া, ক্যামেরুন, ঘানা, লিবিয়া, আলজেরিয়া ও মিসরের মতো আফ্রিকান দেশ থেকে অভিবাসীরা ইউরোপে পাড়ি জমানোর উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

হঠাৎ একটি নৌকার ইঞ্জিনে ত্রুটি ধরা পড়ে এবং আরেকটি ভাঙতে শুরু করে। কয়েকজন ভাঙা অংশ আকড়ে ধরে বেঁচে গেছেন। এমএসএফ নামে পরিচিত ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স জানায়, ইতালিয়ান কোস্টগার্ড সাহায্যের চেষ্টা করে। কিন্তু তারা পৌঁছানোর পূর্বেই নৌকা ডুবে যায়।

বেঁচে যাওয়া একজন এমএসএফকে বলেন, ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেলে এলোপাতাড়ি ঘুরতে থাকে নৌকাটি। সেসময় ১৬৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ২০ জন শিশু ছিলো নৌকায়। তিনি বলেন, ঘটনার সময় তিনি মোবাইল নেভিগেশনে দেখতে পান যে মালটা উপকূল বেশি দূরে না। তিনি বলেন, আমরা সাঁতার কাঁটতে পারছিলাম না। অল্প কয়েকজনের কাছে লাইফ জ্যাকেট ছিলো। যারা নৌকা কিংবা ভাঙা অংশ ধরে রাখতে পেরেছিলেন তারাই বেঁচে গেছেন।

_103376124_mediaitem103376123

এমএসএফের নার্স জয় দেফ্রান্সিস বলেন, আমাদের দল কয়েকঘণ্টা ধরে বেঁচে যাওয়াদের চিকিৎসা দিয়েছে।

এর আগে ১ জুলাই ইউরোপে পাড়ি জমানোর আশায় নৌকাডুবে অন্তত ১ হাজার জন নিহত হয়েছিলেন। জুনে ইতালীয় সরকার ও লিবীয় কোস্টগার্ড জানায়, ২০০ এরও বেশি মানুষ ভূমধ্যসাগড়ের ডুবে মারা গেছেন। ২০১৭ সালে এই সংখ্যা ছিলো ৩ হাজারেরও বেশি।