ব্রেক্সিট নিয়ে চুক্তি না করার হুমকি থেরেসা মে’র

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে নিজ দলের বিদ্রোহীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তার প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তি মেনে না নিলে আর কোনও চুক্তিই হবে না। এমন হলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের অনুমান অনুসারে যুক্তরাজ্য অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।   

theresa-may-an103106230epa05433683

 

যুক্তরাজ্য আগামী বছরের ২৯ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাচ্ছে। তবে এখনও বিষয়টি নিয়ে ইইউ’র সঙ্গে কোনও চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি দেশটি। এরই মধ্যে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির বেশ কয়েকজন সদস্য বলেছেন, তারা থেরেসা মে উত্থাপিত চুক্তির বিরুদ্ধে ভোট দেবে। একই ঘোষণা দিয়েছে বিরোধী লেবার পার্টিও।

এসব হুমকির প্রতিক্রিয়ায় এই পাল্টা হুমকি দিলেন মে। বিবিসি টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মে বলেন, ‘আমার মতে ওই চুক্তি বিকল্প হলো কোনও চুক্তিই না করা।’

থেরেসা মে’র সরকার ও তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনার ভাগ্যই নিয়েই এখন সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ, চুক্তিটি নিয়ে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় ৩২০টি ভোট তিনি পাবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে থেরেসা মে বলেছেন, যদি তিনি চুক্তিটি উপস্থাপন করেন তাহলে তা একতরফা পাস হবে।

সাম্প্রতিক এক জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে এখন ব্রেক্সিটপন্থীদের সংখ্যা কম। উল্টো বেড়ে গেছে বিরোধীদের সংখ্যা।

প্রভাবশালী ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ওই জরিপের ফলাফলকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়ার প্রশ্নে যেসব নির্বাচনি আসনের ভোটাররা সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন, সেগুলোর মধ্যে শতাধিক আসনের ভোটাররা এখন মনে করছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে থেকে যাওয়াটাই ভালো। ভোটারদের পরিবর্তিত মনোভাবের এই তথ্য উঠে এসেছে ফোকালডাটা কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশনের অনুসন্ধানে। সূত্র: রয়টার্স।