আমার কোনও অ্যাটর্নি জেনারেল নেই: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার কোনও অ্যাটর্নি জেনারেল নেই। হিল টিভিকে দেওয়া সাক্ষাতকারে অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনের বেশ কিছু সমালোচনা করেন। রুশ সংযোগের তদন্ত থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া ট্রাম্প পুনরায় সেশনের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এছাড়া অভিবাসন নিয়ে সেশনের অবস্থানে ট্রাম্প খুশি নন বলে জানিয়েছেন।

_103497036_9ab70efa-01dc-4311-9ead-328e3adf1588

ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থিতার বিষয়ে শুরুর দিককার একজন সমর্থক হলেও ট্রাম্প সেশনসের ওপর নাখোশ হন যখন মার্কিন নির্বাচনে বিষয়ে চলা তদন্তে থেকে তিনি নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন ‘বিব্রতবোধ করার’ কারণ দেখিয়ে। ট্রাম্পের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক ও ২০১৬ সালের নির্বাচনের বিষয়ে তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া বিশেষ তদন্তকারী রবার্ট মুলারের  পরামর্শক হওয়ার কথা ছিল সেশনসের। কিন্তু তিনি তাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। স্বার্থের সংঘাত বা অন্য কোনও বিষয় যা কার্যক্রমকে পক্ষপাতদুষ্ট করতে পারে এমন বিষয়ের উপস্থিতি থাকলে সংশ্লিষ্ট পদাধিকারী ‘বিব্রতবোধের’ কারণ দেখিয়ে নিজেকে প্রত্যাহার করতে পারেন।

তবে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি সেশনস। বিবিসি জানায়, প্রশাসনের অ্যাটর্নি জেনারেলকে নিয়ে প্রেসিডেন্টের এমন মন্তব্য অস্বাভাবিক। সমালোচকরা মনে করছেন দেশটির আইন ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করতে চাইছেন ট্রাম্প।  

ট্রাম্পকে সেশনসের পদত্যাগের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে হিল টিভিকে তিনি জানান, ‘দেখা যাক কি হয়। অনেকেই আমাকে বলছেন তাকে যেন সরিয়ে দেওয়া হয়।’

গত মাসে সেশনসের সমালোচনার পর দুজন রিপাবলিকান সিনেটর ট্রাম্পকে জানান, সেশনসকে চাকরিচ্যুত করা হলে তারা প্রেসিডেন্টকে সমর্থন দেবেন। তবে অন্যান্য রিপাবলিকানরা জানান, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্ত ভুল হকে। তারা অ্যাটর্নি জেনারেলকেই সমর্থন করবেন।

আগস্টে এক বক্তব্যে সেশনস বলেছিলেন, যেহেতু আমি অ্যাটর্নি জেনারেল, বিচার বিভাগের পদক্ষেপ রাজনৈতিক কারণে বিঘ্নিত হবে না। আমি সর্বোচ্চ সেবা নিতে চাই। কিন্তু সেই চাহিদা পূরণ না হলে আমি ব্যবস্থা নেব।

নির্বাচনকালীন সময়ে ট্রাম্পের সমর্থক থাকলেও রুশ সংযোগ শুরু হওয়ার পর নিজের অবস্থান থেকে সরে যান সেশনস।