ইরানকে নরকে পাঠানোর হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের

আমেরিকা ও তার মিত্রদের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে ইরানকে নরকে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে এক সমাবেশে দেওয়া বক্তব্যে এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন। ইরানের শাসকদের ‘গুরুতর পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

মঙ্গলবার জাতিসংঘ ৭৩তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে ইরানের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ‘বিশৃঙ্খলা, মৃত্যু ও ধ্বংসের’ বীজ বপনের অভিযোগ তোলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের ওই অভিযোগের কয়েক ঘণ্টা পরই মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে ইরানবিরোধী এক সম্মেলনে তেহরানের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন জন বোল্টন।

তিনি বলেন, ‘মিথ্যা, প্রতারণা ও শঠতা’ চালিয়ে গেলে ‘তেহরানের মোল্লাদের খুনি শাসন ব্যবস্থাকে’ গুরুতর পরিণতি মোকাবিলা করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র, তার মিত্র বা অংশীদারদের ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘন করলে তাদের অবশ্যই নরকের মূল্য চুকাতে হবে। আমেরিকা ইরানের ওপর নজর রাখছে। তাদের পাকড়াও করা হবে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের পেছনে লেগে থাকবে।

এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের বিতর্ক পর্বে তুমুল বিবাদে জড়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প ইরানের নেতৃত্বকে দুর্নীতিবাজ স্বৈরশাসক হিসেবে আখ্যা দেন। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় রুহানি তার ভাষণে তেহরানের ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাকে অর্থনৈতিক সন্ত্রাস হিসেবে আখ্যা দেন।

কয়েক দশকের বৈরিতার ধারাবাহিকতায় ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত মে থেকেই উত্তেজনা বাড়ছে। ওই সময় ট্রাম্প ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ২০১৫ সালে করা ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসেন এবং তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন। মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিতে যাওয়ার আগে এক মন্তব্যে সাংবাদিকদের ট্রাম্প জানান, ইরানিরা তাদের ‘সুর না পাল্টানো’ পর্যন্ত তিনি তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন না।

ইরানের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, তারা তাদের প্রতিবেশী ও সীমান্ত এবং অন্য জাতির সার্বভৌম অধিকারের প্রতি সম্মান দেখায় না। ইরানের নেতারা অন্য দেশের সম্পদ লুট করে নিজেদের সম্পদ বৃদ্ধি করছে। তারা মধ্যপ্রাচ্য এবং অন্যত্র বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে দিচ্ছে। দেশটির জনগণও তাদের নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ। কারণ, তারা কোষাগার থেকে কোটি কোটি ডলার আত্মসাৎ করছে। আর এসব অর্থ দিয়ে প্রক্সি যুদ্ধ পরিচালনা করছে। এসব কোনও ভালো কাজ নয়। সূত্র: আল জাজিরা।