জাতিসংঘে মার্কিন দূত হিসেবে ইভানকার চেয়ে যোগ্য কেউ হতে পারে না: ট্রাম্প

জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ইভানকা ট্রাম্পের চেয়ে যোগ্য কেউ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তাকে নিয়োগ দিলে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠবে বলে এই কাজ করছেন না বলেও জানান তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

donald-ivanka-trumpহোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন তার মেয়ে আদতে ‘ডায়নামাইট’। কিন্তু তাকে মনোনীত করা হলে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠবে তার বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার হঠাৎ করেই জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি পদত্যাগ করেন। তারপর থেকেই আলোচনা শুরু হয়েছে কে হবেন হ্যালির উত্তরসূরী। সেই বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়েই ইভানকার কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমি ইভানকার নাম শুনছি। সে কেমন হবে? এটাতে স্বজনপ্রীতির কিছু নেই। সেই এই পদের জন্য সেরা পছন্দ। কিন্তু তারপরও আমার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আনা হবে।

ট্রাম্প পছন্দ করলেও ইভানকা নিজেই তার সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিয়েছেন। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, তার বাবা হ্যালির জায়গায় যোগ্য উত্তরসূরী খুঁজবেন। আর তিনি সেই উত্তরসূরী নন।

এর আগে নিকি হ্যালির সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প বলেছিলেন, হ্যালি খুবই বিশেষ একজন ব্যক্তি। ছয় মাস ধরে তাকে চেনেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, হ্যালি হয়তো পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটানোর জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

নিকি হ্যালিও ইভানকা ও জ্যারেড কুশনারের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ইভানকা ও জ্যারেডের ব্যাপারে যাই বলি না কেন, সেটা কম হয়ে যাবে। জ্যারেড সত্যিই অসাধারণ। আর ইভানকা আমার খুবই ভালো বন্ধু। তারা দেশের জন্য পর্দার আড়াল থেকে অনেক কাজ করে যান।

নিকি হ্যালি আগে সাউথ ক্যারোলিনার গভর্নর ছিলেন। জাতিসংঘের দূত হিসেবে ৯৬ জন সিনেটর ভোট দিয়েছিলেন তাকে। ট্রাম্প বলেছেন, নিকি হ্যালি ভিন্ন কোনও দায়িত্ব নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনে ফিরে আসবেন।