আফগানিস্তানে ৯ মাসে নিহত ২৭৯৮ বেসামরিক, আহত ৫২৫২

আফগানিস্তানে ৯ মাসে প্রায় ৮০৫০ জন বেসামরিক হতাহত হয়েছে। জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত নিহত বেসামরিকের সংখ্যা ২৭৯৮। আহত হয়েছে ৫২৫২ জন। এদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে সরকারবিরোধী গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্রের হামলায়। সেখানে এলাকাভিত্তিক অভিযান ও যুদ্ধে ব্যবহৃত বিস্ফোরকের অবশেষ থেকেও বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

un-efqan

আাফগানিস্তান নিযুক্ত জাতিসংঘ মিশন জানায়, এত বিশাল সংখ্যক বেসামরিক নিহত হওয়ার দ্বিতীয় কারণ হলো বিমান হামলা ও যুদ্ধে ব্যবহৃত বিষ্ফোরক। মিশনের প্রধান এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ দূত তাদামিচি ইয়ামামোটো বলেন, আফগানিস্তানে কোনও সামরিক সমাধান নেই। জাতিসংঘ সবপক্ষকে শান্তিপূর্ণ সমাধানে আসার আহ্বান জানায়।

প্রথেমবারের মতো ৯ মাসে নানগাহারে নিহতের সংখ্যা কাবুলকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০১৭ সালের তুলনায় এবারের হতাহতে সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। এদিকে নানগাহার কর্তৃপক্ষ দাবি করে, তাদের কাছে তালেবানের কমান্ডারসহ ৭৫ জন সেনা আত্মসমর্পণ করেছে।  প্রদেশের গভর্নর হায়াতুল্লাত হায়াত বলেন, এই বিদ্রোহীরা বাতিতে সক্রিয় ছিলো। এখন তারা শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করবে।

নাইন ইলেভেনের হামলার পর ২০০১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নির্দেশে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযান শুরু হয়। কিন্তু ১৭ বছরেও তারা লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৪ সালে আফগান তালেবানের বিরুদ্ধে ওই যুদ্ধ শেষ হলেও যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী এখনও সেখানে রয়ে গেছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের দাবি আফগান সেনাদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে তাদের সেনারা। 
গত জানুয়ারিতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি’র এক জরিপে বলা হয়,আফগানিস্তানের প্রায় ৭০ ভাগ এলাকায় তালেবানদের তৎপরতা রয়েছে। আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে থাকে তালেবান। যুদ্ধের ইতি টানার জন্য যুক্তরাষ্ট্র তালেবান যোদ্ধাদের সঙ্গে একটি সমঝোতায় যেতে চাইছে। সমস্যা হচ্ছে তালেবানদের শর্ত নিয়ে। তালেবান যোদ্ধারা চায় সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে। আর যুক্তরাষ্ট্র চায়, তালেবান যোদ্ধাদের আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসাতে।