ইন্দোনেশিয়ায় আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ২১ জন নিহত

প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ইন্দোনেশিয়ায় ১১ স্কুল শিক্ষার্থীসহ কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছে আরও ১৫ জন। এ ঘটনায় কয়েকশ ঘরবাড়িও ধ্বংস হয়েছে। শনিবার দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।  

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যার কারণে কাদার স্রোতে ডুবে যাওয়া গ্রাম

ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বিএনপিবি’র মুখপাত্র সুতোপো পুরবো নুগরোহো জানিয়েছেন, এই বন্যায় উত্তর ও পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের ৫ শতাধিক ঘরবাড়ি ডুবে গেছে নয়তো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে কিছু ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এছাড়া সেখানাকার তিনটি ঝুলন্ত সেতুও ধ্বংস হয়েছে।

নুগরোহো বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে আক্রান্ত গ্রামগুলো পর্বতের উপরে আর সড়কগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সেখানে পৌঁছানো কঠিন হচ্ছে’। শুক্রবার উত্তর সুমাত্রার এক গ্রামের পাশের নদী উপচে পড়ে সৃষ্ট বন্যার পানির চাপে একটি মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষের দেয়াল ধসে ১১ শিশুশিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। তিনি বলেন, হতাহতরা কাদার স্রোত ও ধসে পড়া দেয়ালের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে।

বন্যার পানির স্রোতে বিধ্বস্ত মাদ্রাসা

আঞ্চলিক পুলিশ প্রধান ইরসান সিনুহাজি জানান, ঘটনার সময় শ্রেণিকক্ষটিতে থাকা ২৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন ছাড়া সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকারীরা নিখোঁজ ওই ছাত্রের খোঁজ করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া একই নদীর প্রবল স্রোতে ভেসে যাওয়া একটি গাড়ির দুই আরোহীকে শনিবার মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

উত্তর সুমাত্রার সিবোলগা শহরে ভূমিধসে চার জন নিহত হয়েছেন। অপরদিকে পশ্চিম সুমাত্রায় আকস্মিক বন্যায় দুটি শিশুসহ আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে।