খাশোগি হত্যার নেপথ্যে সৌদি যুবরাজ: মার্কিন সিনেটর

ইস্তানবুলের কনস্যুলেট ভবনের অভ্যন্তরে খাশোগি হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার নেপথ্যে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করেছেন একজন মার্কিন সিনেটর। সিনেটের বৈদেশিক কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান সিনেটর বব কর্কার হত্যাকাণ্ডের দায়ে যুবরাজের শাস্তিও দাবি করেছেন। সৌদি আরব বলতে চাইছে, এটি কয়েকজন গোয়েন্দা কর্মকর্তার স্বেচ্ছামূলক ও নীতিবিবর্জিত কর্মকাণ্ড। সৌদি যুবরাজ এ ব্যাপারে অবগত নন।
noname

২ অক্টোবর ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন সৌদি অনুসন্ধানী সাংবাদিক জামাল খাশোগি। শুক্রবার (১৯ অক্টোবর) মধ্যরাতে প্রথমবারের মতো সৌদি আরব সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে। তবে তারা দাবি করে, খাশোগিকে হত্যার উদ্দেশ্য তাদের ছিল না। খাশোগি কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন এবং ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তার মৃত্যু হয়। সৌদি আরব বলছে, কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছাড়াই ১৫ সদস্যের গোয়েন্দা স্কোয়াড নীতিবর্জিত অবস্থান থেকে খাশোগিকে খুন করেছেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে দেশটি।

তবে শনিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’র ‘স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন’ অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেন যুক্তরাষ্ট্রের  সিনেটের বৈদেশিক কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান সিনেটর বব কর্কার। ওই অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রফতানিকারক দেশ সৌদি আরবের উত্তরাধিকারী যুবরাজ মোহাম্মদ এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে রয়েছেন।  কর্কার বলেন, ‘যুবরাজ তার সীমা অতিক্রম করেছেন এবং তার শাস্তি হওয়া উচিত আর তাকে চরম মূল্য দিতে হবে।’

এর আগে এক সাক্ষাৎকারে বব কর্কার খাশোগি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বৈশ্বিক ম্যাগনিটস্কি আইন প্রয়োগ করে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তারা তাদের তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে, তবে যুক্তরাষ্ট্রকে নিজস্ব স্বাধীন ও বিশ্বাস্য তদন্ত অবশ্যই চালিয়ে যেতে হবে। বৈশ্বিক ম্যাগনিটস্কি আইনের প্রয়োজন অনুযায়ী খাশোগির হত্যাকারীকে চিহ্নিত করতে এই তদন্ত প্রয়োজন।