৯ বছর ধরে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলো বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসেতু। মঙ্গলবার ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই সেতুটি উদ্বোধন করেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সেতুটির দৈর্ঘ্য ৫৫ কিলোমিটার। এটি তৈরিতে খরচ হয়েছে ২ হাজার কোটি ডলার। চীনের বৃহত্তর সামুদ্রিক এলাকার জন্য সেতুটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই সেতুটি দক্ষিণ চীনের ৫৬ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা, হংকং ও ম্যাকাউসহ ১১টি শহরকে যুক্ত করছে। এই এলাকায় প্রায় ৬ কোটি ৮০ লাখ জনগণের বসবাস।
এই সেতু উদ্বোধনের তারিখ বেশ কয়েকবার পিছিয়ে যায়। কাজ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৮ জন কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন।
দীর্ঘতম এই সেতুটি ভূমিকম্প ও ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধী। দাবি করা হচ্ছে, এটি তৈরিতে ৪ লাখ টন স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে, যা দিয়ে ৬০টি আইফেল টাওয়ার নির্মাণ সম্ভব।
মূলত হংকং, ম্যাকাওসহ চীনের দক্ষিণাঞ্চলের আরও ৯টি শহরের সঙ্গে সংযোগের জন্য এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এর আগে ঝুয়াই থেকে হংকং যেতে চার ঘণ্টা লাগতো। এখন লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট।
তবে সর্বসাধারণ এই সেতুটি ব্যবহার করতে পারবেন না। এই সেতু দিয়ে চলাচলের জন্য বিশেষ অনুমতি লাগবে। টোল দিতে হবে যানবাহনকে। সেখানে পাবলিক বাহনও চলবে না। কর্তৃপক্ষের হিসাব অনুযায়ী, প্রতিদিন সেতুটি দিয়ে ৯ হাজার ২০০ যানবাহন চলাচল করবে।