যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৬টায় পূর্ব উপকূলীয় রাজ্যগুলোতে প্রথম ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শুরুতে ভোট দেন নিউ হ্যাম্পশায়ার, নিউ জার্সি, নিউ ইয়র্ক, ভার্জিনিয়া ও মাইনের ভোটাররা। সময়ের পার্থক্য অনুযায়ী, বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বিভিন্ন সময় ভোট গ্রহণ শেষ হয়ে পূর্ণাঙ্গ ফল পেতে সময় লাগবে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত ১১টা (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকাল ১০টা) থেকে ভোটের ফল আসা শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য এ নির্বাচনকে গণভোট হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফল আগামী দুই বছর ও পরবর্তী সময়ের জন্য মার্কিন রাজনীতির গতি-প্রকৃতি ঠিক করে দেবে। ভোটের ফলাফল ট্রাম্পের শাসনামলের শেষ দুই বছরে তার শাসন পরিচালনার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মতো এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনেও অভিবাসী বিদ্বেষকে হাতিয়ার করেছেন ট্রাম্প। নির্বাচনি প্রচারণায় তিনি বলেছেন, ‘ডেমোক্র্যাটরা ক্ষমতায় এলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। অবৈধ অভিবাসীরা অবাধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ পাবে। আমাদের যাবতীয় অর্জন ঝুঁকির মুখে পড়বে।’
ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি এখন কংগ্রেস ও হোয়াইট হাউস নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু তাদের বিরোধী শিবির ডেমোক্র্যাটরা এবার ‘নীলের উত্থান’ উত্থান দেখছে। এই বছর অবসর নিয়েছেন বেশ কয়েকজন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা। ফলে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ডেমোক্র্যাটদের প্রয়োজন মাত্র ২০টি আসন। কিন্তু সিনেটে রিপাবলিকানরা নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখবে এবং তা আরও সুসংহত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার ক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে কথা বলছে ইতিহাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির পর থেকে সবগুলো মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের দল গড়ে ন্যূনতম ২৫টি আসন হারিয়েছে। আর প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা সূচক যখন ৫০-এর নীচে নেমে যায় তখন ৩৭টি আসন হারাতে হয়েছে। সূত্র: সিএনএন, বিবিসি।