অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় নিষিদ্ধ করে নতুন নিয়ম জারি করছে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত দিয়ে প্রবেশকারী অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় প্রদানকে নিষিদ্ধ করে নতুন নিয়ম জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে নতুন এ বিধান জারির ঘোষণা দেওয়া হয়। নতুন নিয়মের আওতায়, মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ক্ষেত্রে যারা প্রেসিডেন্টের বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করবে তাদেরকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হবে। মার্কিন প্রশাসনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাতীয় স্বার্থে’ অভিবাসন ঠেকাতে পারবেন প্রেসিডেন্ট।  

মেক্সিকো সীমান্তে মার্কিন সেনা
যুক্তরাষ্ট্রে ২০১৮ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রচারণায় অভিবাসনের প্রশ্নটিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মেক্সিকো সীমান্ত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চলমুখী হাজারো অভিবাসন প্রত্যাশীর ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। অভিবাসীদের প্রতিহত করতে সীমান্তে সেনা মোতায়েন করেন ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) অবৈধভাবে প্রবেশকৃত অভিবাসীদের আশ্রয়প্রদান নিষিদ্ধ করে একটি যৌথ বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র দফতর। বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর মনে হলে অভিবাসন ও জাতীয়তা আইনের আওতায় ‘সকল ভীনদেশী নাগরিকের প্রবেশ বন্ধ’ করার ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের রয়েছে। তাদের ওপর প্রতিবন্ধকতা আরোপের এখতিয়ারও রয়েছে তার। সে অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র/মেক্সিকান সীমান্ত হয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট যদি নিষেধাজ্ঞা দেন, তবে যারা সে পথ দিয়ে অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করবে তাদেরকে অভিবাসনের জন্য আবেদনের সুযোগ দেওয়া হবে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, নতুন জারি করা বিধানটি এখনই কার্যকর হচ্ছে না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এতে শিগিগেরই স্বাক্ষর করবেন।

নতুন এ নিয়মের বিরোধিতা করেছে দ্য আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন। একে ‘অবৈধ’ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছে তারা। সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের দাবি, প্রবেশ যেভাবেই হোক যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী যে কেউ অভিবাসনের জন্য আবেদন করতে পারে।