মাসের শেষে বিমান দুর্ঘটনার প্রতিবেদন দেবে ইন্দোনেশিয়া

ইন্দোনেশিয়ায় লায়ন এয়ারের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এই মাসের ২৮ বা ২৯ তারিখে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে দেশটির পরিবহন নিরাপত্তা কমিটি  (কেএনকেটি) । সোমবার কমিটির প্রধান সুয়ারিয়ান্তো জাহিওনো’র বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

download (1)

জার্কাতায় এক সংবাদ সম্মেলনে সুয়ারিয়ান্তো জাহিওনো বলেন, ‘দুর্ঘটনার একমাস পর কেএনকেটি একটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দেবে। আমরা এটা ইন্টারনেটে প্রকাশ করবো।’

২৯ অক্টোবর জাভা সাগরে বিধ্বস্ত হওয়া জেটি-৬১০ ফ্লাইটটি জাকার্তা বিমানবন্দর থেকে ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপ শহর পাঙকাল পিনাঙয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু উড্ডয়নের ১৩ মিনিটের মাথায় নিয়ন্ত্রণকক্ষের সঙ্গে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ওই এলাকার আশেপাশে যারা নৌকায় ছিলেন তারা আকাশ থেকে বিমানটিকে সাগরে পড়তে দেখেছেন। এতে সেখানে থাকা দুই নবজাতক, এক শিশু, দুই পাইলট ও ছয় কেবিন ক্রুসহ ১৮৯ আরোহীর সবার মৃত্যু হয়।

শনিবার জাভা সাগরে বিধ্বস্ত লায়ন এয়ারের উড়োজাহাজের নিখোঁজ আরোহীদের উদ্ধার অভিযানে শেষ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় তল্লাশি ও উদ্ধার সংস্থা বাসারনাসের প্রধান মুহাম্মদ সিয়াগি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘কোথাও তল্লাশি চালানো বাকি নেই। আমরা নিহতদের মরদেহ অনুসন্ধান করা বন্ধ করেছি। এখন পর্যবেক্ষণের মধ্যেই অভিযান সীমাবদ্ধ থাকবে।’

কেএনকেটি প্রধান জাহিওনো বলেন, বিমান বিধ্বস্তের কারণ বোঝার জন্য ভয়েস রেকর্ডারটি পাওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেছেন, ব্ল্যাক বক্সের তথ্য থেকে সেদিনের ঘটনার ব্যাপারে ৭০-৮০ শতাংশ জানা গেছে। তবে দুর্ঘটনার কারণ শতভাগ বোঝার জন্য ককপিটে কী কথাবার্তা হয়েছিল তা জানা দরকার। তবে বিমান বিধ্বস্তের সময় ককপিট ভয়েস রেকর্ডারটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে।