২৫ বছরের মধ্যে মঙ্গলের মাটিতে পা রাখবে মানুষ

আগামী ২৫ বছরের মধ্যে মঙ্গলগ্রহে মানুষ নিজের পদচিহ্ন এঁকে দিতে পারবে বলে দাবি করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। তবে এতে প্রযুক্তিগত অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে জানান তারা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

dbb835b6efcc40bcb47fceeb45931927_18মঙ্গলবার নাসার শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলগ্রহে অবতরণের আগেই মহাকাশের বিষাক্ত রশ্মির কারণে দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হতে পারে, হাঁড় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। নাসার সাবেক নভোচারী টম জোনস বলেন, বর্তমান বাজেটে ওই সমস্যার সমাধান কঠিন। সেক্ষেত্রে ২৫ বছর সময় লেগে যাবে।

বর্তমানের রকেট প্রযুক্তিতে একজন নভোচারীর মঙ্গলগ্রহে পৌঁছাতে ৯ মাস লেগে যাবে। এত দীর্ঘ সময় শূন্যে থাকলে শরীরের ক্ষতি হওয়াটা অবশ্যম্ভাবী বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের ধারণা, এত সময় শূন্যে অবস্থান করলে রক্তকণিকায় পরিবর্তন আসতে পারে। দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি হতে পারে। হাঁড়ে ক্যালসিয়াম কমে যেতে পারে। এছাড়া পৃথিবী থেকে তিনভাগের এক ভাগ মধ্যাকর্ষণ শরীরে কেমন প্রভাব ফেলবে সেটা নিয়েও নিশ্চিত না বিজ্ঞানীরা।

আশা করা হচ্ছে আগামী ২৫ বছরের মধ্যে এমন প্রযুক্তি আসবে যাতে করে মঙ্গলগ্রহে যাওয়ার সময় কমে আসবে মানুষের।  জোনস বলেন, আমাদের এখনও তেমন প্রযুক্তি নেই যার মাধ্যমে আপনি মহাজাগতিক রশ্মি থেকে বাঁচতে পারবেন। টম জোনস বলেন, অনেক জটিলতা আছে তবে আমাদের এখন কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির উপর কাজ করতে হবে। আর তা বর্তমান বাজেটে সম্ভব নয়। বাজেট বাড়ানো হলে আশা করা যায় ২৫ বছরের মধ্যেই আমরা এই সমস্যাগুলির সমাধান করতে পারব।

নাসার গোডার্ড স্পেশ ফ্লাইট সেন্টার এর প্রধান বিজ্ঞানী জিম গারভিন বলেন, এই সময়ে তারা মঙ্গলগ্রহ নিয়ে আরও অনেককিছু জানতে পারবেন। সেখানকার পরিবেশ নিয়ে কিংবা প্রাণের অস্তিত্ব নিয়ে গবেষণা করবেন তারা।