এবার সৌদি আরবে অস্ত্র রফতানি বন্ধের ঘোষণা ডেনমার্কের

ভবিষ্যতে সৌদি আরবে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামাদি রফতানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডেনমার্ক। সৌদি অনুসন্ধানী সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ড ও ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) ড্যানিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেস স্যামুয়েলসেন সৌদি আরবে ভবিষ্যতে অস্ত্র রফতানির অনুমোদন না দেওয়ার ঘোষণা দেন। অবশ্য, ইতোমধ্যে অনুমোদন পাওয়া রফতানির ক্ষেত্রে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে।

সৌদি যুবরাজ
২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তানবুলস্থ সৌদি কনস্যুলেট ভবনে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনায় শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে সৌদি আরব। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সৌদি আরবে অস্ত্র রফতানির জন্য লাইসেন্স ইস্যু করা বন্ধ রেখেছে জার্মানি। রিয়াদের কাছে সব ধরনের অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করেছে দেশটি। সোমবার (১৯ নভেম্বর) ফ্রান্স বলেছে, খাশোগি হত্যার ঘটনায় সৌদি আরবে শিগগিরই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এবার সৌদি আরবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণকারী দেশগুলোর কাতারে শামিল হলো ডেনমার্কও।

বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেস স্যামুয়েলসেন বলেন, ‘ইয়েমেনের ভয়াবহ পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি এবং সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যার ঘটনায় আমরা নতুন এক পরিস্থিতিতে আছি।’

ড্যানিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সৌদি আরবে অস্ত্র রফতানির জন্য ১০টি আবেদন অনুমোদন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যে অনুমোদনগুলো আগে দিয়ে দেওয়া হয়েছে সেগুলো বাতিল হবে না।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় অস্ত্র আমদানিকারক দেশগুলোর একটি সৌদি আরব। সৌদি আরবের নেতৃত্বে একটি সামরিক জোট ইয়েমেনে অভিযান পরিচালনা করছে। ইয়েমেনের যুদ্ধে এরইমধ্যে বলি হয়েছে ১০ লাখের বেশি মানুষ। দেশটিতে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।   

সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যার জেরে সৌদি আরবের কাছে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি বন্ধের দাবি জোরালো হয়ে উঠলেও তাতে সায় দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাবি করে আসছেন,দেশটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আরও অনেক উপায় রয়েছে। সৌদিতে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আত্মঘাতী হবে বলেও মনে করেন ট্রাম্প।