ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি সমর্থন বন্ধের পক্ষে মার্কিন সিনেটররা

ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের অভিযানের সমর্থন থেকে সরে আসার পক্ষে রায় দিয়েছেন মার্কিন সিনেটররা।  তবে কংগ্রেসের এই শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন না সিআইএ প্রধান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

_104533378_050867022-1যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ২০১৫ সালের মার্চ মাস থেকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ইয়েমেনে হামলা চালিয়ে আসছে। তাদের উদ্দেশ্য, দেশটির আন্তর্জাতিকভাবে বৈধ হিসেবে স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আবু রাব্বু মানসুর হাদির সরকারকে স্থিতিশীল করা। ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা হাদি সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।

তবে এবার মার্কিন সিনেটররা এই যুদ্ধে সমর্থন বন্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিবিসি জানায়, সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর থেকে তাদের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কমে গেছে।

দ্বিতীয় বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গত ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে হত্যার শিকার হন খাশোগি। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে খাশোগিকে হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি আরব জানায়, ইস্তানবুলের কনস্যুলেটে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে খুন হন সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি। এ ঘটনায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও ওঠে। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ নাকচ করে আসছে।

সিনেটের শুনানিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাদের তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করলেও সিআইএ প্রধান জিনা হ্যাসপেলের অনুপস্থিতিকে স্বাভাবিকভাবে নেয়নি অনেকে। একজন সিনেটরের অভিযোগ, কিছু আড়াল করতেই হ্যাসপেল উপস্থিত ছিলেন না।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি আরবকে সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং দেশটির রাজপরিবারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে গেছেন।গত সপ্তাহে সিআইএর একটি প্রতিবেদনও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি যেখানে সৌদি যুবরাজকে হত্যার জন্য দায়ী করা হয়েছিলো।

সিনেট ফররেন্স কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর বব কর্কার বলেন, এটা সবার কাছেই স্পষ্ট যে সৌদি যুবরাজ জড়িত ছিলেন।তিনি বলেন, ‘আমি বুঝি যে সৌদি আরব আমাদের মিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি যে যুবরাজ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছেন।