খাশোগি হত্যাকাণ্ডে ১৭ সৌদির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কানাডার

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৭ সৌদি নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কানাডা। এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড বলেন, খাশোগি হত্যাকাণ্ড মূলত বাকস্বাধীনতার ওপরেই আঘাত। কানাডা এর সুষ্ঠু তদন্ত চায়। 

thumbs_b_c_225c873d64244733996792dc1f6682e5

খাশোগি হত্যার ঘটনায় শুরু থেকেই আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে সৌদি আরব। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডেনমার্ক সৌদি আরবে অস্ত্র রফতানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। সৌদি আরবে অস্ত্র রফতানির জন্য লাইসেন্স ইস্যু করা বন্ধ রেখেছে জার্মানি। ১৯ নভেম্বর ১৮ জন সৌদি নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটি। কয়েকদিনের মধ্যে  ওই সৌদি নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ফ্রান্স।

বৃহ্স্পতিবার ১৭ সৌদি নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কানাডা জানায়, তাদের ধারণা তারা  খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলো।তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বারবার সৌদি যুবরাজের প্রতি ইঙ্গিত করা হলেও কানাডার নিষেধাজ্ঞার তালিকায় নেই তিনি।  

৫৯ বছর বয়সি খাশোগি এক সময় সৌদি রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি যুবরাজের কঠোর সমালোচকে পরিণত হন। গ্রেফতার এড়াতে দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাচনে চলে যান খাশোগি। দ্বিতীয় বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গত ২ অক্টোবর ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে গিয়ে হত্যার শিকার হন খাশোগি। প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে খাশোগিকে হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি আরব জানায়, ইস্তানবুলের কনস্যুলেটে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে খুন হন সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি। এ ঘটনায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগও ওঠে। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ সে অভিযোগ নাকচ করে আসছে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান খাশোগি হত্যার ঘটনায় সরাসরি সৌদি যুবরাজকে দায়ী না করলেও তিনি দাবি করেছেন, সৌদি আরবের ‘শীর্ষ পর্যায়’ থেকে হত্যার নির্দেশ এসেছে।