সামরিক খাতে ৭৫০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক খাতে বাজেট বৃদ্ধি করে ৭৫০ বিলিয়ন ডলার করার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

2018-12-10T001525Z_1_LYNXMPEEB900A_RTROPTP_2_USA-TRUMP

প্রতিবেদনে বলা হয়, সামনের বছর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ব্যয় বাড়ানোর অনুমতি চেয়েছিলেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস। বারবার সামরিক ব্যয় কমানোর কথা বলে আসলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাটিসের প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন ট্রাম্প।

গত সপ্তাহে এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেছিলেন প্রতিরক্ষা দফতরের প্রস্তাবিত ৭১৫ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব ‘পাগলামি’। এরপর দিনই ম্যাটিস ও অন্যান্য আইনপ্রণেতারা জানান, তারা প্রেসিডেন্ট এর সাথে সামরিক ব্যয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

মঙ্গলবারের বৈঠকের পর ৭৫০ বিলিয়ন ডলারের বাজেটের ব্যাপারে সম্মতি দেন ট্রাম্প। ম্যাটিস ছাড়াও সেই বৈঠকে অংশ নেন, সিনেটের সশস্ত্র বাহিনী বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ম্যাক থর্নবেরি ও ওক্লাহামার সিনেটর জেমস ইনহোফ।

এক কর্মকর্তা বলেন, সামরিক বাহিনী শক্তিশালী করতে নতুন প্রতিরক্ষা কৌশলে সমর্থন জানিয়েছেন ট্রাম্প। সিনেটর ইনহোফ ও চেয়ারম্যান থর্নবেরির সহায়তায় আমরা তাকে রাজি করাতে সক্ষম হয়েছি।

বাজেট বাড়ানোর এই সংবাদটি প্রথম প্রকাশ করে পলিটিকো।  বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিবছরই ৩ থেকে ৫ শতাংশ বাজেট বৃদি্ধ করা উচিত। এতে করে সামরিক সদস্য ও পরমাণু অস্ত্রর ব্যয় নির্বাহ সম্ভব হয়।

গত সপ্তাহের বৈঠক হওয়ার আগ পর্যন্ত বাজেট ৫ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে শোনা যাচ্ছিলো। প্রতিরক্ষা দফতর ৭১৬ বিলিয়ন ডলার বাজেটের প্রস্তুতি নিয়েছিল।   

প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাইক অ্যান্ড্রু বলেন, প্রতিরক্ষা দফতর সবসময়ই চায় যেন মার্কিন সামরিক বাহিনী বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী থাকে। সেই লক্ষ্যেই আমরা বাজেট ও ব্যবস্থাপনা দফতরের সঙ্গে কাজ করছি।

কর্মকর্তারা জানান, ৭৩৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে বাজেট হলে ঝুঁকি তৈরি হবে।